ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারী স্কুলে পড়া বাধ্যতামূলক করে আদেশ জারির ৩ ঘণ্টার মধ্যেই প্রত্যাহার

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

সরকারী স্কুলে পড়া বাধ্যতামূলক করে আদেশ জারির ৩ ঘণ্টার মধ্যেই প্রত্যাহার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানকে সরকারী স্কুলে পড়ানো ‘বাধ্যতামূলক’ করে আদেশ দিয়ে তিন ঘণ্টার মধ্যেই প্রত্যাহার করে নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। আদেশ জারির আগে ‘আমার অনুমোদন নেয়া হয়নি’- অধিদফতরের মহাপরিচালকের পক্ষ থেকে এমন আপত্তি তোলার পর সেটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। এখন আলোচনা করে এ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে রাতে জনকণ্ঠকে জানিয়েছেন অধিদফতরের পরিচালক (পলিসি এ্যান্ড অপারেশন) আনোয়ারুল হক। এর আগে বৃহস্পতিবার অধিদফতর থেকে শিক্ষা কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে নির্দেশনা পাঠিয়ে বলা হয়, প্রাথমিক শিক্ষার মান ও ক্লাসে শিক্ষকদের আন্তরিকতা বাড়ানোই এ পদক্ষেপের লক্ষ্য। তবে অধিদফতরের মহাপরিচালক মোঃ আলমগীর বলেছেন, তাকে না জানিয়েই এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। ওই নির্দেশনা পাঠানোর পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ডাকা হয় জানিয়ে আলমগীর বলেন, পরিচালক পর্যায়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, নিজেদের সন্তানরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি না হওয়ায় শিক্ষকরা ফাঁকি দেন, আন্তরিকতা নিয়ে পড়ান না- এমন কথা মন্ত্রী, এমপিসহ অনেকেই বলেন। উল্লেখ্য, সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মান নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষকই নিজেদের সন্তানকে সরকারী স্কুলে না পড়িয়ে কিন্ডার গার্টেনে (কেজি স্কুল) ভর্তি করান। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের এই নির্দেশনা বহাল থাকলে সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষকদের সন্তানকে প্রাক-প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত সরকারী প্রাথমিকেই বাধ্যতামূলকভাবে পড়াতে হবে বলে বৃহস্পতিবার আদেশ জারির পর স্পষ্ট হয়ে যায়। তবে রাতে পরিচালক আনোয়ারুল হক বলেন, ওটা প্রত্যাহার করা হয়েছে আপাতত। এখন আলোচনা করে যদি বিষয়টি ভাল বলে মনে হয় তবে পরবর্তীতে আবার দেখা যাবে। তিনি বলেন, আসলে এটা ভাল করার জন্যই। একটা স্কুলে দেখা যায় শিক্ষক তার সন্তানকেও তার স্কুলে পড়ান না। বিষয়টি অফিসে ফাইলে তুলে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথাই বলা হয়েছিল। কিন্তু তা না করে মেইলে দেয়া হয়েছিল ভুলবশত।
×