ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

উবাচ

পাতায় পাতায় ভুল স্টাফ রিপোর্টার ॥ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার জীবনের পাতায় পাতায় ভুল। তাকে অপসারণ না করলে বিএনপি রক্ষা পাবে না। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার জন্ম তারিখে ভুল, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সেনা ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া ভুল, নির্বাচনে অংশ না নেয়া ভুল- তার জীবনের পাতায় পাতায় ভুল। যার জীবনের পাতায় পাতায় ভুল সেই বেগম খালেদা জিয়াকে অপসারণ না করলে বিএনপি রক্ষা পাবে না। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া সব হারিয়ে এখন অন্যের ইস্যুকে হাইজ্যাক করছেন। তিনি অন্যের তেল-গ্যাস ইস্যু হাইজ্যাক করতে চেয়েছেন। বেগম খালেদা জিয়া এখন পরগাছা ও পরজীবীতে পরিণত হয়েছেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, হরতালকারীদের এখন দুরবিন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বিএনপি-জামায়াত হরতালকে কৌতুকে পরিণত করেছে। তিনি বলেন, যারা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হরতাল ডাকে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করতে হবে। ঘোর কাটছে না স্টাফ রিপোর্টার ॥ কল্যাণপুরের জাহাজ বিল্ডিংয়ে জঙ্গী হামলার পর তার মনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছিল। নানাভাবে আকারে ইঙ্গিতে বলার চেষ্টা করছেন নানান কথা। তবে এবার নারায়ণগঞ্জ অভিযানে জঙ্গী নেতা তামিম চৌধুরী নিহত হওয়ার পর তিনি বলেই ফেললেন, জনগণকে ‘বিভ্রান্ত করতে’ সরকার যেসব তথ্য দিচ্ছে তাতে তারা ‘বিভ্রান্ত’। গত শনিবার নারায়ণগঞ্জে জঙ্গী হামলার পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) হান্নান শাহ’র এমন মন্তব্যে মনে হচ্ছে তার সন্দেহের ঘোর কাটছে না। অভিযান নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে সরকার বিভিন্ন তথ্য দিচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপি নেতা হান্নান শাহ বলেন, জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য যেসব তথ্য দেয়া হচ্ছে, এটা নিয়ে আমরা সত্যিকারার্থে বিভ্রান্ত হচ্ছি। এই যে যিনি নারায়ণগঞ্জে নিহত হলেন, বলা হলো উনার সঙ্গে আরও দু’জন নিহত হয়েছেন। অথচ কয়েকদিন আগে পত্র-পত্রিকায় দেখেছিলাম যে, উনি (তামিম চৌধুরী) ভারতে আছেন। তাহলে এটা তো আমি বুঝি না, ভারতের ওই লোক ওইখান থেকে নারায়ণগঞ্জে চলে আসল। এ্যাকশন হইছে... উনি মারা গেলেন। আর আমাদের সালাহউদ্দিন আহমেদ (বর্তমানে স্থায়ী কমিটির সদস্য), উনি হিন্দুস্তানে গিয়ে উপস্থিত হয়ে গেলেন। এই যে মজমা, এটার রহস্য ভাই আমরা বিরোধী দলে আছি, বুঝি না। তিনি তার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, এ রহস্য সৃষ্টির পেছনে গোয়েন্দাদের হাত থাকতে পারে। আর এটা করতে পারে সরকার। তিনি আরও বলেন, আমি কল্যাণপুর সম্বন্ধে বলেছিলাম, অনেকে হা হা করে বলেছিলেন, আরে কী বললেন। পরে দেখা গেল, আমার বক্তব্য বোধ হয় ঠিক। ১০০ বছর বাঁচব স্টাফ রিপোর্টার ॥ কথায় বলে জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে সবই আল্লাহর হাতে। আবার কেউ কেউ বলেন বাঁচা-মরা সব তার ইচ্ছা। কিন্তু কেউ কি বলতে পারেন ক্ষমতায় নিয়ে দাও আরও ১০০ বছর বাঁচব। তাও আবার শত বছরের কাছাকাছি কেউ যদি এ কথা বলেন তাহলে কী অবস্থা দাড়ায়? এক শ’, এক শ’ যোগ করলে তো দুই শ’ হয়ে যায়। এ সময় কেউ কি এতদিন বাঁচতে পারেন? সম্প্রতি ‘গিনেচ বুকের রেকর্ড ভেঙ্গেচুরে গুঁড়িয়ে দেয়ার প্রত্যাশায় এরশাদ দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, তোমরা যদি আমাকে আবার ক্ষমতায় আনতে পারো, তাহলে আরও ১০০ বছর বেঁচে থাকব। তবে তাঁকে বাঁচিয়ে রাখতে ১০০ বছরজুড়েই ক্ষমতায় রেখে দিতে হবে কি-না তা সাবেক স্বৈরশাসক পরিষ্কার করেননি। এরশাদ নেতাকর্মীদের দেখে আবেগঘন হৃদয়ে বলেন, এতদিন সংশয়ে ছিলেন, জাতীয় পার্টি বাঁচবে কি-না, দল থাকবে কি-না, তিনি বাঁচবেন কি-না! কিন্তু এখন সেই সংশয় দূর হয়ে গেছে। এরশাদ বলেন, তোমাদের এ উপস্থিতি প্রমাণ করে জাতীয় পার্টি বেঁচে আছে, বেঁচে থাকবে। জাতীয় পার্টি আবার ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েছে। আমি বেঁচে আছি তোমাদের জন্য। নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রর্থী দেব। আমি তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছি, এখনই এলাকায় গিয়ে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হও। এরশাদ বলেন, আমরা কারও সঙ্গে হাত মেলাতে যাব না। কেউ হাত মেলাতে এলে হাত মেলাবো কি-না, আমরা নির্ধারণ করব। তবে দুর্বলের সঙ্গে কেউ ঐক্য করতে আসেন না। শক্তি থাকলে সবাই তোমাদের ভালবাসবেন, সম্মান করবেন। এজন্য শক্তি সঞ্চার করতে হবে।
×