ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পরবর্তী প্রজন্ম যেন বিপথে না যায় ॥ প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

পরবর্তী প্রজন্ম যেন বিপথে না যায় ॥ প্রধানমন্ত্রী

বিডিনিউজ ॥ পরবর্তী প্রজন্ম যাতে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের পথে না যায়, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীসহ সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির সদর দফতরে এক অনুষ্ঠানে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ নির্মূলে তিনি সবার ঐক্যবদ্ধ অংশগ্রহণ চান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পথ পরিহার করে সবাই যেন সুস্থ পথে ফিরে আসে সেজন্য সকলে যার যার কর্মস্থলের প্রত্যেকের নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করবে। সেটাই আমি আশা করি। বিবিজির সীমান্ত ব্যাংকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা আরও বলেন, “জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস দমনে সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ। এখানে যারা উপস্থিত সকলের একটা দায়িত্ব রয়েছে। গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়ে বিদেশী নাগরিকদের হত্যার পর জঙ্গিবাদ বেশ জোরালোভাবে সামনে চলে আসে। ওই ঘটনায় আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে পাঁচ জঙ্গী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। তরুণ ওই নিহত জঙ্গীদের প্রায় সবাই উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান ছিল, যারা রাজধানীর নামী ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলেও পড়াশোনা করেছিল। পরে কল্যাণপুরে নয় জঙ্গী ও সব শেষে নারায়ণগঞ্জে তিন জঙ্গী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়। জাতীয় প্রচার মাধ্যমগুলোতে সরাসরি সম্প্রচারিত এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ছেলে-মেয়েরা যেন এই জঙ্গীবাদের সঙ্গে যুক্ত না হয়। প্রতিটি অভিভাবকের কাছে আমার সেই আহ্বান। নিজের ছেলে-মেয়ে কী করে, কোথায় যায়, কাদের সঙ্গে মেশে, কী পড়াশোনা করে; সেগুলো সম্পর্কে খবর রাখা।” সন্তানদের সমস্যার প্রতি দৃষ্টি দিতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “তাদের সমস্যা কিছু থাকলে তা শোনা, তাদের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হওয়া এবং তাদের আস্থা বিশ্বাস যেন থাকে সেদিকে নজর দেয়া। “তারা লেখাপড়া শিখে মানুষের মতো মানুষ হোক; তা আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করা।” জঙ্গীবাদ সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে কোন তথ্য পেলে তা দ্রুত আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে জানানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন বিপথে চলে না যায়।” “ইসলাম শান্তির ধর্ম। এই ধর্ম কখন হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করে না। হত্যার পথ ইসলামের পথ না। এই ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে, তারা সব থেকে ক্ষতি করছে ইসলাম ধর্মের। পবিত্র ও শান্তির ধর্মকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে।”
×