ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সেরা করদাতার সংখ্যা বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

সেরা করদাতার সংখ্যা বাড়ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সৎ করদাতাদের উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করতে সেরা করদাতাদের সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এবার সেরা করদাতার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে তরুণ ও নারী পর্যায়ের পৃথক বিভাগ। একই সঙ্গে বৃদ্ধি করা হচ্ছে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা। এজন্য ‘জেলাভিত্তিক সর্বোচ্চ ও দীর্ঘ সময় আয়কর প্রদানকারী করদাতাদের পুরস্কার প্রদান নীতিমালা-২০০৮’ সংশোধন করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে, যেখানে করদাতাদের অধিকতর সম্মাননা ও সুবিধার বিষয়ে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে। বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ৮ম বোর্ড সভায় এ সংক্রান্ত খসড়া নীতিমালা সংশোধন সাপেক্ষে সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোনন করা হয়েছে। জানা যায়, শুল্ক, মূসক ও আয়কর অনুবিভাগের কার্যক্রমে গতিশীলতা আনার পাশাপাশি করদাতাদের কর প্রদানে উৎসাহ দেয়ার জন্য নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন গঠনমূলক কর্মসূচী। প্রণয়ন করা হচ্ছে করদাতাবান্ধব নীতিমালা। সৃজিত হচ্ছে সর্বত্র ইতিবাচক পরির্বতন সমৃদ্ধ রাজস্ববান্ধব সংস্কৃতি। বোর্ড সভায় ব্যক্তি পর্যায়ের প্রস্তাবিত ৫০টি ট্যাক্স কার্ডের স্থলে নতুন করদাতাদের মধ্য হতে ৭টি ট্যাক্স কার্ডসহ ৫৭টি ট্যাক্স কার্ডের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া প্রস্তাবিত জাতীয় ট্যাক্স কার্ড নীতিমালা-২০১০ সংশোধন অনুসারে কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী আনা হয়েছে। তা হলোÑ সর্বোচ্চ কর পরিশোধের ভিত্তিতে ২০টি ট্যাক্স কার্ডের স্থলে মোট ট্যাক্স কার্ডের সংখ্যা হবে ১০৮টি। ব্যক্তি পর্যায়ে ১০টির স্থলে ৫৭টি, কোম্পানি পর্যায়ে ১০টির স্থলে ৪০টি এবং নতুনভাবে অন্যান্য পর্যায়ে ১১টি ট্যাক্স কার্ড প্রদান করা হবে। ব্যক্তি পর্যায়ে করদাতার ক্ষেত্রে নয় ক্যাটাগরির আয়ের উৎস বা পেশার ভিত্তিতে এবং পাঁচ ক্যাটাগরির বিশেষ শ্রেণীর আলোকে ট্যাক্স কার্ড প্রদান করা হবে। আয়ের উৎস বা পেশার ভিত্তিতে ট্যাক্স কার্ডের জন্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উৎসের আয়কে নির্ণায়ক হিসেবে বিবেচ্য হবে। কোম্পানি পর্যায়ের করদাতার ক্ষেত্রে ১২ ক্যাটাগরিতে ট্যাক্স কার্ড প্রদান করা হবে। ট্যাক্স কার্ডের জন্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে ওই প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ক্যাটাগরির আয় নির্ণায়ক হিসেবে বিবেচ্য হবে। অন্যান্য পর্যায়ের ক্ষেত্রে চার ক্যাটাগরি যথা : ফার্ম, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, ব্যক্তি সংঘ এবং অন্যান্য বিভাগে করদাতাকে ট্যাক্স কার্ড প্রদান করা হবে। কুয়াকাটার ভাঙ্গন রোধে ২৫০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী ॥ পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকত ভাঙ্গন রোধে ২৫০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়। সমুদ্র সৈকতের পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙ্গনরোধে বাঁধ নির্মাণ করা হবে বলে জানান তিনি। মন্ত্রী বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা পটুয়াখালীর পায়রা পান্ডব নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। পরে স্থানীয় সুধী সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোঃ নজরুল ইসলাম বীরপ্রতীক, জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সাজিদুর রহমান, পটুয়াখালী জেলা পরিষদ প্রশাসক খান মোশাররফ হোসেন ও জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী আলমগীর। এ সময় জেলা প্রশাসক একেএম শামীমুল হক সিদ্দিকী, পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
×