ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

১২শ’ কন্টেনার বোঝাই জাহাজ ফিরে যাচ্ছে সিঙ্গাপুরে

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

১২শ’ কন্টেনার বোঝাই জাহাজ ফিরে যাচ্ছে সিঙ্গাপুরে

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম বন্দর বহির্নোঙরে ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় সিঙ্গাপুর থেকে ১২শ কন্টেনার নিয়ে আসা একটি জাহাজ পুনরায় সিঙ্গাপুরে ফিরে যাচ্ছে। বিশেষ ব্যবস্থায় জাহাজটি ভিড়িয়ে কন্টেনারগুলো খালাস করতে আমদানিকারকদের অনুরোধ থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোন ঝুঁকি নিতে চায়নি। জাহাজটি সরিয়ে নিতে মালিক পক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বন্দর সূত্রে জানা যায়, এমভি ইউনি প্রভেন্ট নামের জাহাজটি ১২শ’ টিইইউএস কন্টেনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর বহির্নোঙরে আসে গত ১৭ আগস্ট। এর মধ্যে ১ হাজার ১৭০টি কন্টেনারে রয়েছে আমদানিকারকদের শিল্পের কাঁচামাল। বাকি ২৩০টি খালি কন্টেনার। কিন্তু জাহাজটি বহির্নোঙ্গঙরে অপেক্ষমাণ আরেকটি জাহাজের নোঙরের চেনের সঙ্গে আটকে যায়। বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটলেও এর জাহাজের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। সে থেকেই কন্টেনার বোঝাই এ জাহাজ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এদিকে সেখানে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল থাকায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন আমদানিকারকরা। আমদানির কাঁচামালের অধিকাংশই পোশাক শিল্পের। তাদের পক্ষ থেকে বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানানো হয়, বিশেষ ব্যবস্থায় টাগবোট দিয়ে জাহাজটি জেটিতে টেনে এনে কন্টেনারগুলো খালাস করার জন্য। কারণ এ জাহাজ সিঙ্গাপুরে ফিরে গেলে পণ্যগুলো পেতে অন্তত ১৫ দিন বিলম্ব হয়ে যাবে। এতে শিল্পের উৎপাদনের ক্ষতি হবে। কিন্তু বন্দর কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে ঝুঁকি নিতে রাজি নয়। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (এডমিন এন্ড প্লানিং) জাফর আলম এ ব্যাপারে জানান, আমরা মালিক পক্ষকে বলে দিয়েছি জাহাজটি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। এ ধরনের একটি জাহাজ টাগবোট দিয়ে টেনে বন্দর জেটিতে ভেড়াতে চাইলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। প্রায় তিন বছর আগে ইঞ্জিন বিকল একটি জাহাজ টেনে আনতে গিয়ে তা চরে আটকা পড়ে। এতে বন্দর চ্যানেলে ঝুঁকির সৃষ্টি হয়। একটি জাহাজের জন্য পুরো বন্দরকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিতে পারি না। কবে নাগাদ জাহাজটি ফিরিয়ে নেয়া হতে পারে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট শিপিং এজেন্ট টাগবোটের ব্যবস্থা করে জাহাজটি টেনে নিয়ে যাবে। পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি মঈনুদ্দীন আহমেদ মিন্টু বলেন, এটি আমদানিকারক কিংবা রফতানিকারকের দোষ নয়। ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়া একটি দুর্ঘটনা। বিশেষ ব্যবস্থায় কন্টেনারগুলো খালাস করা গেলে উপকার হতো। কিন্তু বেশি ঝুঁকি হলে আমরা সেই আবদার করতে পারি না। জাহাজটি সিঙ্গাপুর ফিরে গিয়ে কন্টেনার আনলোড করে আরেকটি জাহাজে উঠিয়ে ফের চট্টগ্রাম বন্দরে আসতে অন্তত দু’সপ্তাহ সময় লাগবে। এতে শিল্পোৎপাদনের বড় ধরনের ক্ষতি হবে। বিষয়টিকে ‘দুর্ভাগ্য’ হিসেবে মেনে না নিয়ে উপায় নেই।
×