ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

২২ মাস পর মার্জিন সুবিধা ফিরে পেল শাহজিবাজার পাওয়ার

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

২২ মাস পর মার্জিন সুবিধা ফিরে পেল শাহজিবাজার পাওয়ার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাইশ মাস পর মার্জিন ঋণ সুবিধা ফিরে পেল শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ার। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানিটির মার্জিন ঋণের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিএসইসির ৫৮২তম কমিশন সভায় কোম্পানিটির মার্জিন ঋণের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। ২০১৪ সালের ১৫ জুলাই দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে শাহজিবাজার পাওয়ারের শেয়ার লেনদেন চালু হয়। কিন্তু শুরুতেই অস্বাভাবিক লেনদেন সন্দেহে ওই বছরের ২ আগস্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে বিএসইসি। তদন্তের মধ্যেও বাড়তে থাকে শেয়ারের দর। একপর্যায়ে ১১ আগস্ট থেকে ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৪৪ কার্যদিবস লেনদেন স্থগিত রাখে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ। শুরু হয় কোম্পানির শাস্তি। ওই কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানির প্রত্যেক পরিচালককে জরিমানা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এছাড়া শেয়ারের মূল্য কারসাজির অভিযোগে একাধিক ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। সূত্রমতে, বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ১৯ নবেম্বর থেকে কোম্পানিটির শেয়ারে মার্জিন ঋণ দেয়া বন্ধ করে দেয় ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো। একই দিন থেকে কোম্পানিটির শেয়ার স্পট মার্কেটে লেনদেন শুরু হয়। এছাড়া যে সকল ব্রোকারেজ হাউস কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেন সংক্রান্ত সিঙ্গেল এক্সপোজার লিমিট অতিক্রম করেছে, ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তা নির্ধারিত সীমায় নিয়ে আসতে হবে, যা স্টক এক্সচেঞ্জ তদারকি করে। অন্যদিকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত প্রত্যেক ব্রোকারেজ হাউস দৈনিক লেনদেন শেষে শাহজিবাজারের ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত নিজ নিজ স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তার সারসংক্ষেপ পরের দিন কমিশনে জমা দিতেও বলা হয়। বিএসইসির শাস্তি মেনে নেয়ার পর মার্জিন ফিরে পাওয়ার আবেদন করে শাহজিবাজার। এর পরিপ্রেক্ষিতে সবকিছু বিবেচনা করে মার্জিনের অনুমতি দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এর ফলে আগামী রবিবার থেকে মার্জিনে ফিরছে কোম্পানিটি। বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির মোট ২৮ কোটি ২৩ লাখ টাকার ১৭ লাখ ৬ হাজার ৩৪২টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। দিনটিতে কোম্পানিটির প্রারম্ভিক মূল্য ছিল ১৬৪.৫০ টাকা। দিনশেষে কোম্পানিটির সমন্বয় মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৬৬.৪০ টাকা। ১৩৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের কোম্পানিটির মোট ৭১.৯৩ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা পরিচালক, ৯.০১ শতাংশ শেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং ১৯.০৮ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।
×