ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ডিএপিতে গ্যাস বিস্ফোরণে ক্ষতি ২৯ কোটি টাকা

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ডিএপিতে গ্যাস বিস্ফোরণে ক্ষতি ২৯ কোটি টাকা

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে ডিএপি (ডাই এ্যামোনিয়া ফসফেট) কারখানায় এ্যামোনিয়া ট্যাঙ্ক বিস্ফোণের ঘটনায় জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টে দুর্ঘটনার জন্য কারখানার জিএম নকিবুল ইসলাম, উপ-প্রধান প্রকৌশলী (বিদ্যুত) দিলীপ কুমার বড়ুয়ার দায়িত্বহীনতা, অমনোযোগিতা ও অদূরদর্শিতাকে দায়ী করা হয়েছে। এই দুই কর্মকর্তাকে স্বপদে বহাল রাখা হলে প্ল্যান্টটি নিরাপদ নয় এবং তাদের প্রত্যাহার করে বিভাগীয় শাস্তি ও এ ঘটনায় যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এই দুই কর্মকর্তার আনুতোষিক হতে আদায়ের সুপারিশ করা হয়েছে। গত ২২ আগস্ট রাতে এ দুর্ঘটনা পর জেলা প্রশাসন ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে তিন কার্য দিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ প্রদান করে। বুধবার রিপোর্টটি বিসিআইসির কাছে পেশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছন জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন। তদন্ত রিপোর্টে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান, দায়ী ব্যক্তিবর্গকে চিহ্নিতকরণ, সম্ভাব্য ক্ষতি নিরূপণ এবং এ ধরনের দুর্ঘটনা মোকাবেলার সুপারিশ করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২৯ কোটি টাকা বলে নির্ধারণ করা হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হয়। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বিদ্যুত সরবরাহ না থাকায় গত ২০ আগস্ট থেকে ডিএপির ১ নম্বর প্ল্যান্টটি বন্ধ ছিল। বন্ধ থাকা অবস্থায় ২২ আগস্ট রাত সাড়ে দশটার দিকে ৫শ’ টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এ্যামোনিয়া ট্যাঙ্কটি বিস্ফোরণ ঘটে। হবিগঞ্জের চার ছাত্র হত্যা মামলা শিশু আদালতে নিজস্ব সংবাদদাতা, হবিগঞ্জ, ১ সেপ্টেম্বর ॥ হবিগঞ্জের আলোচিত সুন্দ্রাটিকি গ্রামের এক মাদ্রাসা ও তিন স্কুলছাত্র হত্যাকা- মামলাটি শিশু আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে। নারী ও শিশু আদালতের স্পেশাল পিপি আবুল হাশেম মোল্লা মাসুম জানান, সংশ্লিষ্ট মামলার অভিযুক্ত এক আসামি শিশু- এমন দাবি করে বয়স জটিলতা নিরসনের জন্য আসামিপক্ষের আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার জেলা ও দায়রা জজ আতাব উল্লাহ ওই আদেশ দেন। এদিকে বিজ্ঞ বিচারক এ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন আগামী ৭ সেপ্টেম্বর। শুনানিকালে সংশ্লিষ্ট মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামি প্রধান হোতা আব্দুল আলী বাঘাল, তার পুত্র রুবেল ও জুয়েল মিয়াসহ আরজু, সাহেদ আদালতে উপস্থিত ছিল। গত ১২ ফেব্রুয়ারি বাহুবল উপজেলাধীন ওই গ্রামের সুন্দ্রাটিকি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র শুভ, তাজ, মনির ও মাদ্রাসাছাত্র ইসমাঈলকে খেলার মাঠ থেকে অপহরণ করে। হত্যার পর স্থানীয় ঈসাবিলে বালির স্তূপে পুঁতে রাখে।
×