ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

চিত্রনায়ক ও মডেল ইমন

তারকাদের ঈদ ভাবনা

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

তারকাদের ঈদ ভাবনা

ঢাকাতেই ঈদ করার প্লান আছে। তবে ঈদের পরের দিনই দেশের বাইরে যাব বেড়াতে। কারণ, অনেকদিন পর বড়ভাই দেশে আসছে। তাকে নিয়ে আমরা ফুল ফ্যামিলি মিলে বাংলাদেশে ঈদ করব। তার পরের দিন লম্বা ছুটি কাটাতে ভারতে যাব সবাই মিলে। ছুটি কাটিয়ে তারপর যাব ইউরোপে কাজ করতে । ঈদের আগের দিনও শূটিং থাকবে। মোস্তফা কামাল রাজের শূটিং। মোটকথা জোস একটা ঈদ কাটাব। অভিনেত্রী বাঁধন আমার শ্বশুরবাড়ি ঢাকায়। তাই শ্বশুর-বাপের বাড়ি করেই ঈদ কাটবে। আগে ঈদ ছিল নিজের আনন্দের জন্য। সেই আনন্দ এখন দায়িত্বে পরিণত হয়েছে। আমার পরিবারের সঙ্গে ঈদের সময়টুকু কাটাতে চাই। ঈদের খুশি আসলে আমার মেয়েকে ঘিরেই। ঈদের দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমি আমার মেয়ের সঙ্গে থাকতে পারব, এটাই আমার ঈদ আনন্দ। ঈদে রান্নার কিছু ঝামেলা থাকে সেটাও করতে হবে। ঈদে ছোটবেলায় কতই না মজা করতাম। এখন দিনে দিনে মজা হারিয়ে যাচ্ছে। তবে সময় পেলে একটু ঘুরতে বেরব মেয়েকে নিয়ে। চিত্রনায়িকা অধরা খান প্রতিবারের ন্যায় এবারও বাড়ির সকলের সঙ্গে ঈদ করার ইচ্ছে আছে। ছোটবেলায় ঈদের সময় অনেক ঘুরতাম। কিন্তু এখন আর সেভাবে ঘোরা হয় না। আসলে পারি না। আমার কাজের চাপ তো আছেই। আগে ঈদের সময়টা আমার জন্য একেবারে আলাদা রকম ছিল। সারাদিন শুধু ঘুরে বেড়াতাম। অলিগলি চষে বেড়াতাম। বাবা-মায়ের কাছ থেকে কিছু পকেটমানি নিয়ে নিতাম। সেলামির টাকা তো থাকতোই। খুঁজে খুঁজে বের করতাম কাকে সালাম করে সালামি পাওয়া যায়। সেই টাকা নিয়ে বাইরে ঘুরতে বের হতাম। চিত্রনায়ক ও মডেল নিরব ছোটবেলায় একসময় প্লান করতাম কোথায় কোথায় ঘুরতে যাব। তখন ঈদ পালন করা হতো ধুমধাম করে। কিন্তু বড় হয়ে সেটা যেন প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। আগে সালামি নিতাম। আর এখন উল্টো দিয়ে থাকি। এখন দিনে দিনে ঘরকুনো হয়ে যাচ্ছি। সকালে উঠে নামাজ পড়ব। দেশীয় রীতিতে ঈদ যতটুকু পালন করা যায়। কণ্ঠশিল্পী কর্নিয়া এখনও ঠিক করিনি ঈদ কোথায় করব। তবে বাড়িতে সময়টা পরিবারের সঙ্গেই কাটাব। পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটানোর মজাই আলাদা। অনেক ব্যস্ত সময় পার করছি। ঈদের দিন ঘুম থেকে ওঠা নিয়ে আমার কোন চিন্তা ছিল না। কারণ আমার কাজিনরা আমাকে ডেকে তুলত। আমি জানতাম নানা ভাই আমার জন্য টাকা রেডি করে বসে আছেন। তাঁর কাছে টাকা সংগ্রহ করে অন্য আত্মীয়দের কাছ থেকে টাকা তুলতে যেতাম। আসলে ছোটবেলার ঈদই মজার হয়। এখন মজার চেয়ে দায়িত্বটাই বেশি বেড়ে গেছে। চিত্রনায়ক সায়মন সাদিক পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদ সাধারণত কিশোরগঞ্জেই করে থাকি। প্রতিবছর পরিবার, বন্ধু সবার সঙ্গে ঈদ করার জন্য বাড়ি চলে যাই। তাই এই সময়টাতে কোন কাজ রাখি না। পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটানোর মজাই আলাদা। ঈদে সবচেয়ে মজার মুহূর্ত হলো বাবা, ভাই, বন্ধুদের সঙ্গে মিলে ঈদের নামাজ পড়া। এটাই আমার কাছে ঈদের সবচেয়ে বেশি আনন্দের বিষয়। আর ঘোরাঘুরি, খাওয়া-দাওয়া, টিভি অনুষ্ঠান দেখা তো রয়েছেই। চিত্রনায়িকা পপি ঈদের দিন বাসায় থেকে বন্ধুদের জন্য অপেক্ষা করব। ছোটবেলার ঈদের দিনের কথা খুব মনে পড়ে। খুলনায় গ্রামের বাড়িতে আমাদের যৌথপরিবারের কাজিনদের নিয়ে ঈদ করার আনন্দ অনেক। সবচাইতে ভাল লাগত আমি যখন জামা কিনে আনতাম, আমার কাজিনরা চলে আসত আমার জামা দেখতে। সবাই তার নিজের জামা-কাপড় লুকিয়ে রেখে আমার জামা দেখতে আসত। আমি সবার বড় যে কারণে আমি জামা লুকিয়ে রাখতাম না। বরং সবাই আমার জামা দেখে অনেক প্রশংসা করেছে, সেটাই বেশি উপভোগ করতাম। সালামির জন্য সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতাম। অনেকেই ঈদের দিন বাসায় আসবে, তাদের সঙ্গে আড্ডায় কাটবে সকাল-দুপুর। বিকেলে আমি কয়েকটি বাসায় যাব, কিছু আত্মীয় ও বন্ধুদের বাড়িতে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।
×