ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সেবাবঞ্চিত রোগী

ডাক্তার নেই চুয়াডাঙ্গার ১৫ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে

প্রকাশিত: ০৪:৪১, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ডাক্তার নেই চুয়াডাঙ্গার ১৫ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে

রাজীব হাসান কচি, চুয়াডাঙ্গা ॥ সরকারের গ্রামীণ জনপদে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করণে নেয়া উদ্যোগ ভেস্তে যেতে বসেছে। ডাক্তারশূন্য অবস্থায় চলছে চুয়াডাঙ্গার ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো। এতে সরকারের মহতী উদ্যোগে ভাটা পড়েছে। উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে একজন করে মেডিক্যাল অফিসার নিয়োগ থাকলেও তারা কেউই সেখানে রোগী দেখেন না। এ ডাক্তাররা বিভিন্ন কৌশলে জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডেপুটেশনে চাকরি করছেন। ফলে গরিব ও অসহায় রোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তবে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জনের দাবি- জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে ডাক্তার সংকটের কারণে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের নিয়োগ প্রাপ্ত ডাক্তারদের ডেপুটেশনে এনে হাসপাতাল চালাতে হচ্ছে। জানা গেছে, কয়েক বছর আগে সরকার গ্রামীণ জনপদে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেবার লক্ষ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে। এরই ধারাবাহিকতায় চুয়াডাঙ্গা জেলার ৪টি উপজেলায় ১৫টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদরে বেগমপুর, আলমডাঙ্গা উপজেলা সদর, বড় গাংনী, মুন্সীগঞ্জ, খাসকররা, হাটবোয়ালিয়া, দামড়ৃহুদা উপজেলার জয়রামপুর, মেমনগর, জুড়ানপুর, নতিপোতা, চন্দ্রবাস, জাহাজপোতা, কুড়ালগাছী ও জীবননগর উপজেলার উথলী ও আন্দুলবাড়িয়া। প্রতিটি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন এমবিবিএস ডাক্তার, একজন ফার্মাসিস্ট, একজন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার ও একজন পিয়ন থাকার কথা । কিন্তু অধিকাংশ উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোতে এমবিবিএস ডাক্তার ও ফার্মাসিস্ট পদে কোন জনবল নেই। ফলে গ্রামীণ মানুষের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেবার সরকারের অঙ্গীকার ভেস্তে যেতে বসেছে। ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা। ডাক্তার সংকটের কারণে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা ব্যহত হওয়ার কথা স্বীকার করে সিভিল সার্জন ডা. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, জেলায় ১০০ বেডের সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে যত ডাক্তার থাকার দরকার তার অর্ধেক নেয়। ফলে বাধ্য হয়ে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তারদের ডেপুটেশনে এনে স্বাস্থ্যসেবা ঠিক রাখতে হচ্ছে।
×