ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

খুলনা-কলকাতা রুটের ‘মৈত্রী’ বাস দুটি ফিরে গেছে

প্রকাশিত: ০৪:৪১, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

খুলনা-কলকাতা রুটের ‘মৈত্রী’ বাস দুটি ফিরে গেছে

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ খুলনা-কলকাতা রুটের পরীক্ষামূলক ‘মৈত্রী’ বাস দুটি (ভুতল পরিবহন নিগম) কলকাতার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। বুধবার বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে বাস দুটি খুলনা সার্কিট হাউজ থেকে ছেড়ে যায়। বাস দুটি ফিরে যাওয়ার সময় প্রতিনিধি দলকে বিদায় জানান খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান। এদিকে বুধবার সকালে খুলনা-কলকাতা মৈত্রী বাসে আগত ভারতীয় প্রতিনিধি দল বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদ, খানজাহান আলীর (র) মাজার ও অযোদ্ধার মঠ পরিদর্শন করেন। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা থেকে ছেড়ে ‘ভারত-বাংলাদেশ সৌহার্দ্য যাত্রা, কলকাতা-যশোর-খুলনা আন্তর্জাতিক বাস পরিসেবা’ লেখা বাস দুইটি পেট্রাপোল-বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে যশোর হয়ে খুলনা সার্কিট হাউজে এসে পৌঁছে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে। এ সময় বাসে আগত ভারতীয় প্রতিনিধি দলকে অভ্যর্থনা জানান খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আব্দুস সামাদ, জেলা প্রশাসক নাজমুল হাসান, পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্যা, জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশিদসহ প্রশাসনের কর্মকতারা। ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে একমাসের মধ্যে কলকাতা-যশোর-খুলনা রুটে বাণিজ্যিকভাবে বাস চালু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রতিনিধি দলের নেতা পশ্চিমবঙ্গের ট্রান্সপোর্ট বিভাগের স্পেশাল সেক্রেটারি বিশ্ব মাধব দাস গুপ্ত। চবি শিক্ষার্থীকে সাদা পোশাকে তুলে নেয়ার অভিযোগ স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এলএলবির ছাত্র নেজাম উদ্দিনকে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন তুলে নিয়ে গেছে দাবি করে তার ভাই আব্বাস উদ্দিন নেজামকে ফিরিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতা চেয়েছেন। বুধবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি আকুতি জানান। আব্বাস উদ্দিন বলেন, আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কাছে প্রার্থনা করছি আমার ভাইকে খুঁজে বের করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দিন। নয়তো আমার মা আর বাঁচবে না। ভাইয়ের চিন্তায় না খেয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি এখন মৃত্যুশয্যায়। নিখোঁজ নেজাম উদ্দিনের গ্রামের বাড়ি সাতকানিয়া থানার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের মির্জাখিল গ্রামে। তিনি চবিতে পড়াশোনার পাশাপাশি নগরীর বাকলিয়া থানার বড় মিয়া মসজিদের নিচতলায় মার্কেটে দোকান করতেন। লিখিত বক্তব্যে আব্বাস উদ্দিন জানান, নেজাম উদ্দিন কিছু দিন আগে চবি থেকে এলএলবি পরীক্ষা দিয়েছেন। এলএলএমে ভর্তি আবেদনপত্রও জমা দিয়েছেন। রবিবার আমি ওয়াশরুমে যাই। এ সময় ভাই শুয়ে ছিলেন। ওয়াশরুম থেকে ফিরে দেখি ভাইকে ৮-৯ জন লোক পিছমোড়া করে হাতে হাতকড়া পরিয়ে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। আমি জিজ্ঞেস করি, কী সমস্যা? ভাইকে নিয়ে যাচ্ছেন কেন? তারা অস্ত্র তাক করে বলেন, এই চুপ কোন কথা বলবি না। পরে ভাইয়ের নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলে তারা ভাইকে মাইক্রোতে তুলে নিয়ে যায়। এরপর আমরা বাকলিয়া থানা, র‌্যাব, জেলা পুলিশ ও ডিবি কার্যালয়ে যাই। কেউ সন্ধান দেয়নি।
×