ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বেজিংয়ের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের নিবন্ধ

চীনকে ভারতীয়দের শত্রু মনে করা দুঃখজনক

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

চীনকে ভারতীয়দের শত্রু মনে করা দুঃখজনক

‘এটি দুঃখজনক যে, ভারতীয়রা চীনের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন এবং মিয়ানমারের প্রতি তাদের প্রভাব বৃদ্ধিকে সন্দেহের চোখে দেখছে।’ চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসে বুধবার প্রকাশিত এক নিবন্ধে ভারত সম্পর্কে এমন মন্তব্যই করেছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার। নিবন্ধে বলা হয়েছে, কিছু ভারতীয়র মানসিকতা শূন্য এবং তারা মিয়ানমারের ওপর চীনের প্রভাব বৃদ্ধিকে সন্দেহজনক, এমনকি বিরোধিতা হিসেবেও দেখছে। যা খুবই দুঃখজনক। তাই তারা স্বীকার করেছে যে, অবরুদ্ধ দেশটির প্রতি বেজিংয়ের প্রভাব প্রকৃতভাবেই বাড়ছে। এই নিবন্ধে সম্প্রতি রাজনৈতিক মন্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে যে, ভারত ও চীনের মধ্যকার ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার কেন্দ্রে মিয়ানমারের অবস্থান। এই মন্তব্যের প্রেক্ষাপট হলো, মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আউং সান সুচির সম্প্রতি চীন সফর এবং মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট ইউ তিন কিয়াওয়ের ভারত সফর। নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে, এটি বোধগম্য যে ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে মূল্যায়ন করা হয়। তবে ভারত ও মিয়ানমারের মধ্যকার সম্পর্কের সম্প্রসারণ নিয়ে চীনের ঈর্ষান্বিত হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। গত কয়েকদিন ধরে ভারত ও চীন উভয়ই মিয়ানমারের শান্তি প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখার কথা বলেছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে বলেছিলেন, ২১ শতকের প্যাংলং সম্মেলনের আওতায় শান্তি আলোচনায় আমি ভারতের পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি। চীনের সহায়তায় তিনটি সশস্ত্র বিদ্রোহী গ্রুপকে আলোচনার টেবিলে আনতে সুচির উদ্যোগের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। মিয়ানমারের সশস্ত্র গ্রুপগুলোর মধ্যে বুধবার এই শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে। সুচির সঙ্গে সম্পর্কের জোরালো করার প্রচেষ্টা হিসেবে, শান্তি আলোচনায় যোগ দেয়ার জন্য মিয়ানমারের সশস্ত্র গ্রুপগুলোকে চাপ দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। চীনের এই উদ্যোগ মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে রাস্তাঘাট ও রেলপথ নির্মাণে ঠিকাদারির কাজ পাওয়ার প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই না। তবে গ্লোবাল টাইমসে এই ইস্যুতে কিছুই লেখা হয়নি। এর পরিবর্তে এতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারকে অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদানে চীন ও আসিয়ান সদস্য দেশসহ অন্য দেশের সঙ্গে কিভাবে কাজ করা যায় তা নিয়ে চিন্তা করা।
×