ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

১২ ব্যাংক ও ১ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক

দুগ্ধ উৎপাদন ও কৃত্রিম প্রজনন খাতে ঋণ বিতরণের তাগিদ

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

দুগ্ধ উৎপাদন ও কৃত্রিম প্রজনন খাতে ঋণ বিতরণের তাগিদ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দুগ্ধ উৎপাদন ও কৃত্রিম প্রজনন খাতে ঋণ বিতরণ জোরদার করতে চুক্তিবদ্ধ ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যাতে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ঋণ বিতরণ সম্ভব হয়। বুধবার ১২টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠকে এমন নির্দেশনা দেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গবর্নর এসকে সুর চৌধুরী। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা, মহাব্যবস্থাপক প্রভাস চন্দ্র মল্লিকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বলেন, এ কার্যক্রম শুরুর পর থেকে জুলাই পর্যন্ত ৭৭ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করতে সক্ষম হয়েছে সংশ্লিণ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এ সময়ে কিছু ব্যাংক ভাল করেছে। কিছু আবার অনেক পিছিয়ে রয়েছে। কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতিও ছিল। তাই আগামীতে ব্যাংকগুলোর উদ্ভূত ত্রুটি-বিচ্যুতি সমাধানসহ ঋণ বিতরণ কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কৃত্রিম প্রজনন খাতে ঋণ প্রকল্পের সঙ্গে সরকারের ব্যয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। কারণ, এখানে ৫ শতাংশ সুদ ভর্তুকির বিষয় রয়েছে। এজন্য ঋণ বিতরণ জোরদারের পাশাপাশি তা যেন যথাসময়ে আদায় হয় সেদিকেও ব্যাংকগুলোকে নজর রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশকে দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে গেল বছর জুনে ২০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচী চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই তহবিল থেকে মাত্র ৫ শতাংশ সুদে ঋণ পাচ্ছেন কৃষকরা। একজন কৃষককে চারটি বকনা বাছুর কেনার জন্য ২ লাখ টাকা করে ঋণ দেয়া হচ্ছে। এতদিন এই ঋণের বিপরীতে জামানত রাখার নিয়ম ছিল। তবে সম্প্রতি এক পরিপত্র জারি করে জামানত ছাড়াই ঋণ প্রাপ্তি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছর জানুয়ারিতে এ প্রকল্পের ঋণ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে তিনি নির্বাচিত কয়েক ঋণ গ্রহীতার হাতে চেক তুলে দিয়ে বিতরণ কাজের সূচনা করেন। এর আগে ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর এই পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচী থেকে ঋণ বিতরণের জন্য ১২টি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের অংশগ্রহণমূলক চুক্তি সম্পাদিত হয়। এগুলো হলো সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, আনসার ভিডিপি ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি ফাইন্যান্স।
×