ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ভারত থেকে এক লাখ টন লবণ আমদানির সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ভারত থেকে এক লাখ টন লবণ আমদানির সিদ্ধান্ত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ লবণের বাজার স্থিতিশীল রাখতে এবার পার্শ¦বর্তী দেশ থেকে লবণ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দুই/এক দিনের মধ্যেই ভারত থেকে চাহিদা মোতাবেক প্রায় ১ লাখ টন লবণ আমদানি করা হবে বলে সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। বুধবার দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এমন তথ্য জানানো হয়। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে লবণের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে এবার কাঁচা চামড়ার বাজারে ধস নামার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই লবণের অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। ভারত থেকে প্রতিদিন প্রায় ১ লাখ টন লবণ আমদানি করা হবে। ঈদের আগের দশ দিন আমদানি করা হবে। এরপরেও যদি প্রয়োজন হয় তাহলে আমদানির মাধ্যমে চাহিদা মেটানো হবে। তবে দেশের লবণ চাষিদের যাতে কোন ক্ষতি না হয়, সেদিক বিবেচনা করেই আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছে সংসদীয় কমিটি। লবণ আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করে কমিটির সদস্য নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেন, লবণের বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনে আমদানি করা হবে। সব কিছু চূড়ান্ত করা আছে। আশা করি, সামনের সপ্তাহেই পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে লবণ আমদানি করে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। দিনে ১ লাখ টন করে দশ দিনে ১০ লাখ টন লবণ আমদানি করা যাবে। তবে অবশ্যই দেশী লবণ চাষি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের যেন ক্ষতি না হয় সে বিষয় মাথায় রেখেই আমদানি করা হবে। লবণ নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা চাইলে যে কোন সময় লবণ আমদানি করতে পারি। আজ চাইলে আজই আনা সম্ভব। কারণ পার্শ্ববর্তী দেশে লবণের দাম একেবারেই কম। আর লবণ আমদানি করলে এক শ’তে এক শ’ই লাভ। তবে দেশে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও লবণ চাষিদের বিষয়টি মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সচিবের বক্তব্যে আমদানির বিষয়ে কোন পরিষ্কার ধারণা আসেনি। এমনকি বাণিজ্যমন্ত্রীও এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত দেননি এমনটি জানিয়েছে সংসদ সচিবালয়। এদিকে আসছে ঈদে ভোজ্য তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য যাতে বৃদ্ধি না পায় সেজন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে কঠোর মনিটরিং করার জন্য বলেছে কমিটি। এবার ঈদে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়বে না বলেই আশা প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। কারণ এই মুহূর্তে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ভোজ্য তেলের মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে বৃদ্ধি হওয়ায় দেশের বাজারে এর প্রভাব পড়ছে বলে কমিটিতে জানানো হয়। তবে দাম বাড়ানোর পক্ষে নয় সংসদীয় কমিটি। কমিটির সদস্যরা মনে করে যেভাবেই হোক ভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই ভোজ্য তেলসহ সকল নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ধরে রাখতে হবে। আগামী জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাণিজ্য মেলা সংক্রান্ত ক্যালেন্ডার চূড়ান্তকরণ সম্পর্কে বৈঠকে আলোচনা হয়। কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল, ছানোয়ার হোসেন, মনজুরুল ইসলাম লিটন এবং লায়লা আরজুমান বানু অংশ নেন।
×