ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

খন্দকার মাহবুবুল আলম

সত্যের রঙ বদল

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

সত্যের রঙ বদল

প্রকৃত সত্যকে আড়াল করতে মিথ্যা-প্রপাগান্ডা বা অপপ্রচারের আশ্রয় নেয়াটাই হচ্ছে গুজব। এটি একটি ভয়ানক ক্ষতিকর দিক। যা সমাজ-সংস্কৃতি ও প্রগতির পথে বহু ধরনের অন্তরায়। প্রকৃত সত্যকে আড়াল করে মিথ্যার আধিপত্য বেশিদিন টিকলেও তা স্থায়িত্ব লাভ করতে পারে না। ‘গুজবে কান দেবেন না’ এমন কথা সময়ে সময়ে শোনা গেলেও কার কথা কে শোনে? মিথ্যা কথা রং লাগিয়ে বানিয়ে বলা যায়। যা অনেকের কাছেই এক ধরনের স্বাদ লাগে। যেই স্বাদের কোন বাস্তবতা নেই। সত্যের রূপ একটাই, যা পরীক্ষণ-পর্যবেক্ষণে প্রমাণিত বাস্তব। মিথ্যার কাল্পনিক রূপ বহু। যা বিশ্বাস আশ্রিত হয়ে থাকে। এক শ্রেণীর মানুষ আছেন, যাদের কাছে সত্যের রূপ দর্শন মোটেও সুখকর নয়, বরং এ জাতীয়রা কাল্পনিক দেও-দানবের কথা বিশ্বাস করে এক ধরনের মজা পেয়ে থাকে। এদের দ্বারাই গুজব ছড়ায় বেশি। আর কেউ আছেন সবকিছু বুঝে শুনেও কোটারীগত স্বার্থে প্রকৃত সত্যকে বিকৃত বা আড়াল করতে গুজব বা অপপ্রচার চালিয়ে থাকেন, এরা দেশ-সমাজ-জাতি ও গোটা মানব সভ্যতার শত্রু। এসব গুজবে কিছু মানুষ বিভ্রান্ত জয়ে গোলমেলে জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। যেখানে যুক্তি-তর্ক ও পরীক্ষণ-পর্যবেক্ষণ ইত্যাদি থাকে, সেখানে গুজব বা মিথ্যা প্রশ্রয় পেতে পারে না। গুজবে কান দেয়া অন্ধ বিশ্বাস যা এক সময় মানুষকে অন্ধ করে ফেলে। যা প্রকৃত অন্ধের চাইতেও অন্ধ। কানণ এরা যা বিশ্বাস (কল্পনা প্রসূত) করে, তা রক্ষা করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। এটিও এক ধরণের মূর্খতা ছাড়া আর কিছু নয়। বুঝতে হবে সত্য চিরদিনই সুন্দর। কৌতুহলোদ্দীপক অনেকেই গুজবে কান দেয় বেশি। যা কখনও কুফল বয়ে আনে না। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল কোটারি স্বার্থে দেশ ও জাতির প্রকৃত ইতিহাস-ঐতিহ্যকে মিথ্যা প্রমান করতে বা বিকৃতভাবে উপস্থাপনের চেষ্টায় লিপ্ত। এক্ষেত্রে তারা নানাভাবে গুজবে রটিয়ে বা অপপ্রচার চালিয়ে থাকেন। হালিশহর, চট্টগ্রাম থেকে
×