ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

লক্ষ্মী রানী সাহা

সূর্যের মতো জ্বলজ্বলে

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

সূর্যের মতো জ্বলজ্বলে

বাঙালী বিশ্বাসপ্রবণ জাতি। তাই অতি সহজে যে কোন বিষয় তাকে বিশ্বাস করানো সহজ। আর এই সরলতার সুযোগ নিয়ে একটি গোষ্ঠি গুজব ছড়ানোর ধান্ধায় ব্যস্ত থাকে। এরা মাধ্যম হিসাবে মিডিয়াকে বেছে নেয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা শহর ছিল গুজবের নগরী। স্বাধীনতা বিরোধী গোষ্ঠী স্বাধীনতাকামী জনগণকে বিভ্রান্ত করতেই এ ধরনের গুজব প্রচার করত। ১৯৭৫ পরবর্তী বালাদেশে তো কয়েকটি প্রজন্ম বেড়ে উঠেছে বিভ্রান্তি আর মিথ্যা তথ্যকে আশ্রয় করে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে তৎকালীন প্রজন্মকে সত্য-মিথ্যার দ্বন্দ্বে হাবুডুবু খেতে হতো। কথায় আছে একটি মিথ্যাকে একাধিকবার বললে সেটি সত্যের মতো শোনায়। তৎকালীন শাসক গোষ্ঠী অত্যন্ত সুচারু রূপে এ কাজটি করতে সমর্থ হয়। বর্তমানেও একটি গোষ্ঠীর দ্বারা এ ধারা অব্যাহত রয়েছে। এই তো সেদিন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ জামালের বিয়ের ভিডিওটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখলাম। কতটা সাদামাটা অনুষ্ঠান হতে পারে দেশের রাষ্ট্রপতির ছেলের বিয়েতে, না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। অথচ কী অপপ্রচারই না ছিল! হেফাজত ইসলামের ঢাকা তা-বের কথা নিশ্চয়ই ভুলে যাই নি। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দক্ষতায় সেদিন বিনা রক্তপাতে ঢাকাকে মুক্ত করার ঘটনা নিয়েও তো মিথ্যা অপপ্রচার কম ছিল না। সাম্প্রতিক সময়ে কল্যাণপুরে জঙ্গী দমনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে পারঙ্গমতা দেখিয়েছে তা বিশ্ব ইতিহাসে বিরল। অথচ সেখানেও অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়ানো হল। যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে কম অপপ্রচার হয়নি। একে লোক দেখানো বলতেও অনেকে দ্বিধা করেনি। আমাদের সমাজে এক শ্রেণীর লোক আছে যারা গুজব ছড়ায় এবং গুজবকে বিশ্বাস করে। সত্য অন্বেষণে এদের আগ্রহ কম। এরা দেশ, জাতি ও সমাজের ক্ষতি করে। সত্য সব সময়ই সূর্যের মত জ্বলজ্বলে। তাকে কখনই মুছে ফেলা যায় না। মিথ্যার অন্ধকারে সত্যকে সাময়িক আড়াল করা যায় বটে, তবে সত্য তার আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হবে এটাই বিধির বিধান। লালমাটিয়া, ঢাকা থেকে
×