ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

খাঁটি মধু চেনার সহজ উপায়

প্রকাশিত: ২০:০৫, ৩১ আগস্ট ২০১৬

খাঁটি মধু চেনার সহজ উপায়

অনলাইন ডেস্ক॥ মানবদেহের জন্য মধু অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত মধু সেবন করলে অসংখ্য রোগবালাই হতে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি বৈজ্ঞানিকভাবেই প্রমানিত। হাজার বছর পূর্বেও মধু ছিল সমান জনপ্রিয়। ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, অনেক সভ্যতায় মধু ‘ঔষধ’ হিসেবেও ব্যবহৃত হত। এমনকি প্রতিটি পবিত্র ধর্মগ্রন্থেও মধু সেবনের উপকারিতা এবং কার্যকারিতার কথা উল্লেখ রয়েছে। তবে মধুতে এখন অনেক ভেজাল পাওয়া যাচ্ছে। খাঁটি মধু চেনা বড়ই মুশকিল। নিচে রইল খাঁটি মধু চেনার উপায় এবং গুণাগুণ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য- খাঁটি মধুর বৈশিষ্ট্যঃ – খাঁটি মধুতে কখনো কটু গন্ধ থাকে না। – মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক কোনো বিষাক্ত উপাদান প্রাকৃতিক গাছে থাকলেও তার প্রভাব মধুতে থাকে না। – মধু সংরক্ষণে কোনো প্রীজারভেটিভ ব্যবহৃত হয় না। কারণ মধু নিজেই প্রীজারভেটিভ গুণাগুণ সম্পন্ন পুষ্টিতে ভরপুর খাদ্য। – মধু উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাত, নিষ্কাশন, সংরক্ষণ ও বোতলজাতকরণের সময় অন্য কোনো পদার্থের সংমিশ্রণ প্রয়োজন হয় না। – খাঁটি মধু পানির গ্লাসে ড্রপ আকারে ছাড়লে তা সরাসরি ড্রপ অবস্থায়ই গ্লাসের নিচে চলে যায়। খাঁটি মধুর সহজ পরীক্ষাঃ স্বচ্ছ কাচের গ্লাসের পানিতে খাঁটি মধু ঢেলে দিলে সহজে পানির সঙ্গে না মিশে গ্লাসের তলায় তলানি হিসেবে বসে থাকে। এ অবস্থা দুই-তিন ঘণ্টা স্থায়ী থাকে। কারণ মধুর ঘনত্ব পানির ঘনত্বের চেয়ে চার-পাচ গুণ ভারি। আর যদি ভেজাল হয় তবে সহজে পানির সঙ্গে মিশে যাবে। মধুর উপকারিতাঃ বিখ্যাত মুসলিম চিকিৎসক ইবনে সিনা তার বিশ্বখ্যাত- Medical Test book The canon of medicine গ্রন্হে বহু রোগের প্রতিষেধক হিসেবে মধু ব্যবহারের সুপারিশ করেছেন। তিনি মধুর উপকারিতা সম্পর্কে বলেছেন, মধু আপনাকে সুখী করে, পরিপাকে সহায়তা করে, ঠান্ডার উপশম করে, ক্ষুধা বাড়ায়, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি ও তীক্ষ্ম করে, জিহ্বা স্পষ্ট করে এবং যৌবন রক্ষা করে। নিচে মধুর কয়েকটি উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো। মধু সর্দি, কাশি, জ্বর, হাপানি, হৃদরোগ, পুরনো আমাশয় এবং পেটের পীড়া নিরাময়সহ নানাবিধ জটিল রোগের উপকার করে থাকে। এছাড়া মধু ভালো শক্তি প্রদায়ী খাদ্য। – মধুতে বিভিন্ন সূক্ষ্ম পুষ্টি উপাদান ও ভেষজ গুণ রয়েছে। – মৌমাছি ফুলের পরাগায়নে সাহায্য করে শস্য উৎপাদন বাড়ায়। – মৌচাক থেকে যে মোম পাওয়া যায় তা বিভিন্ন শিল্পজাত দ্রব্য যেমন- লোশন, সাবান, কৃম ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। – রূপচর্চার বিভিন্ন কাজে মধু ব্যবহার করা হয়। -দাঁত ও ত্বকের সাধারণ অসুখ-বিসুখ হতে শুরু করে হৃৎযন্ত্র, পরিপাকতন্ত্র, কোলেস্টরনের আধিক্য প্রভৃতি রোগ নিরাময়ে মধু সত্যই এক মহৌষধ।
×