ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঘনিষ্ঠ সহকর্মীর বিষয়ে উদাসীন থাকায় হিলারির সমালোচনায় ট্রাম্প

বিবাহ-বিচ্ছেদের আবেদন করলেন হুমা আবেদিন

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ৩১ আগস্ট ২০১৬

বিবাহ-বিচ্ছেদের আবেদন করলেন হুমা আবেদিন

বিবাহ-বিচ্ছেদের আবেদন করেছেন হুমা আবেদিন। স্বামী সাবেক রাজনীতিক এ্যান্টোনি ওয়েনার অন্য নারীর সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন জানার পর সোমবার হুমা এই সিদ্ধান্তের কথা জানালেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক দলীয় প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে হুমা তার ডেপুটি চীফ অব স্টাফ ছিলেন। খবর এএফপি ও বিবিসি অনলাইনের। প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে হিলারি যখন নির্বাচনী প্রচারাভিযানে ব্যস্ত সময় পার করছেন তখন তার ব্যক্তিগত সহকারী এ রকম একটি ব্যক্তিগত বিষয়ের কথা প্রকাশ করলেন। হুমা বলেন যে, অন্য নারীর সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কের কথা জানার পর থেকে তিনি স্বামীর কাছ থেকে পৃথকভাবে বাস করছেন। ৪০ বছর বয়সী হুমা এক বিবৃততিতে বলেন, ‘অনেক চিন্তা-ভাবনার পর দাম্পত্য জীবন সম্পর্কে আমি এই দুঃখজনক সিদ্ধান্তটি নিয়েছি। এ্যান্টোনি ও আমি ছেলের মঙ্গলের কথাই সবসময় ভেবেছি। আমি আশা করব ব্যক্তিগত এই কঠিন সময়টিতে আমার ব্যক্তিগত গোপনীয়তার সম্মান যেন সবাই রক্ষা করেন।’ এই দম্পতির চার বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। এ্যান্টোনি একজন সাবেক কংগ্রেস সদস্য। ২০১১ সালে অনুরূপ এক যৌন কেলেঙ্কারির কথা ফাঁস হওয়ার পর তিনি কংগ্রেসের সদস্যপদ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। ছয়জন নারীর সঙ্গে তার যৌন সম্পর্ক থাকার ছবি প্রকাশ পাওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে। এর দু’বছর পর তিনি নিউইয়র্কের মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার চেষ্টা করেন কিন্তু কেলেঙ্কারির জন্য সফল হতে পারেননি। এ্যান্টোনি তখন হুমাকে সঙ্গে নিয়ে ভোটারদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। এ্যান্টোনির যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনাগুলো নিয়ে চলতি বছর মে মাসে ‘ওয়েনার’ নামে একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রকাশিত হয়, যা হুমা ব্যক্তি জীবনের একটি দুঃখজনক দিককে জনসমক্ষে নিয়ে আসে। সর্বশেষ বিচ্ছেদের কথা এমন সময় প্রকাশ পেল যখন হিলারি ও তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ নিয়ে তুমুল নির্বাচনী লড়াই চলছে। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের আবেদনকে ‘বুদ্ধিমানের মতো সিদ্ধান্ত’ বলে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে এ্যান্টোনির গোপনীয়তার সঙ্গে যা করে গেছে তার জন্য ট্রাম্প হিলারিকে দোষারোপ করে বলেছেন, এটি তার (হিলারির) অদূরদর্শিতার আরও একটি নমুনা। ট্রাম্প আরও বলেন, ‘হিলারি যে একজন খামখেয়ালি ও দায়িত্বজ্ঞানহীন মানুষ এটি তারই প্রমাণ।’ ট্রাম্প এটিই বুঝিয়ে দেন যে, নিজের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ কর্মীর জন্যও হিলারি কতটা উদাসীন ছিলেন।
×