ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জঙ্গী রিপনের লাশ নেবেন না স্বজনরা

প্রকাশিত: ০৬:০০, ৩১ আগস্ট ২০১৬

জঙ্গী রিপনের লাশ নেবেন না স্বজনরা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ বগুড়ার শেরপুরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত জঙ্গী সংগঠন ‘আনসার রাজশাহী’র মাস্টারমাইন্ড আবু ইব্রাহীম ওরফে তারেক ওরফে রিপনের লাশ নেবেন না তার স্বজনরা। ইতোমধ্যেই তারা তাদের সিদ্ধান্তের কথা পুলিশকে জানিয়েছেন। মঙ্গলবার রাজশাহী নগরীর পাঠানপাড়া এলাকার বাড়িতে গেলে তার চাচি বেবি বেগম ও চাচাত বোন তমা খাতুন জানান, রিপনের লাশ তারা নিতে আগ্রহী নন। জঙ্গীকে নিজেদের আত্মীয় বলে পরিচয় দিতেও এখন লজ্জা পান তারা। বেবি বেগম জানান, ছোটবেলায় রিপনের বাবা মারা যাওয়ার পর তার মা ঝর্ণা বেগম দ্বিতীয় বিয়ে করে চলে গেছেন। তিনি এখন রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের একটি হোস্টেলে আয়ার চাকরি করেন। তিনি ছেলের লাশ নিতে চাবেন না। এছাড়া আত্মীয়-স্বজন যারা আছেন তারাও কেউ লাশ নিতে আগ্রহী নন। পাশের দরগাপাড়া মহল্লার ৯২ নম্বর বাড়িটি রিপনের দুলাভাই হাফিজুর রহমানের। এ বাড়িতে গিয়ে কথা হয় রিপনের বোন সামিনা ফেরদৌস তিন্নার সঙ্গে। তিনি জানান, রিপনের একমাত্র অভিভাবক বলতে গেলে এখন তিনিই। তবে তিনি তার লাশ গ্রহণ করবেন না। তিনি জানান, সোমবার রিপন বন্দুকযুদ্ধে মারা যাওয়ার পর ওই দিনই বিকেলে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকেসহ তার স্বামী হাফিজুর রহমান, চাচা আবদুস সালাম ও চাচাত ভাই ইউসুফ আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। তখনই তারা পুলিশকে রিপনের লাশ না নেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। ওই রাতেই জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। সোমবার ভোরে শেরপুরের বিশালপুরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে রিপন নিহত হয়। সে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম হত্যাকা-ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল বলে জানা গেছে। জঙ্গী রাব্বির লাশ দাফন করতে দেবে না গ্রামবাসী ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা মাগুরা থেকে জানান, নারায়ণগঞ্জে পুলিশী অভিযানে নিহত জঙ্গী কাজী ফজলে রাব্বির লাশ মাগুরার গ্রামে দাফন করতে দেবে না গ্রামবাসী। বেরইল পলিতা ইউপির চেয়ারম্যান খন্দকার মহব্বত আলী জানান, রাব্বির লাশ বেরইল পলিতা গ্রামে গোপনে দাফন করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে এই খবর সোমবার রাতে জানাজানি হয়। খবর শুনে গ্রামবাসী লাশ আনতে দেবে না বলে ঘোষণা দেয়। গ্রামবাসীর ঘোষণার পর রাব্বির পরিবার সিদ্ধান্ত পাল্টায়।
×