ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের শোক দিবসের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী

জিয়া-খালেদা জিয়াদেরও প্রকাশ্যে বিচার হওয়া উচিত

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ৩১ আগস্ট ২০১৬

জিয়া-খালেদা জিয়াদেরও প্রকাশ্যে বিচার হওয়া উচিত

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ায় ‘স্বস্তি’ প্রকাশ করে বলেছেন, যে অপরাধ করে আর যে সহে তারা সমান অপরাধী। যারা একাত্তরের ঘাতক ও যুদ্ধাপরাধীদের মদদ, মন্ত্রী-উপদেষ্টা বানিয়েছে সেই জিয়া-খালেদা জিয়াদের কী শাস্তি হবে সেটাও এখন জাতিকে ভাবতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়ে তাদের হাতে লাখো শহীদের রক্তস্নাত জাতীয় পতাকা তুলে দেয়ার অপরাধে জিয়া-খালেদা জিয়াদের প্রকাশ্যে জনগণের সামনে বিচার হওয়া উচিত। এ ব্যাপারে জনগণের মধ্যে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। আর যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষালম্বনকারী ও দোসররাও রেহাই পাবে না, তাদেরও একদিন জনগণ বিচার করবে। নিহত জঙ্গীদের পরিচয় নিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সন্দেহ প্রকাশ করে করা মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, নিহত জঙ্গীদের ব্যাপারে খালেদা জিয়ার এত মায়াকান্না কেন? যখনই আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জঙ্গীদের খুঁজে বের করে, ব্যবস্থা নেয়, ধরতে গিয়ে অনেকে নিহত হয়। তখন নিহত জঙ্গীদের জন্য খালেদা জিয়ার এত মায়াকান্না কোথা থেকে আসে, সেটাই আমার প্রশ্ন। নিহত জঙ্গীদের পক্ষ নিয়ে উনি বলছেন, শিকড়ের সন্ধান কেন করা হচ্ছে না? তাদের কেন বাঁচিয়ে রাখা হচ্ছে না? বাঁচিয়ে রাখা হলে উনি কী করবেন? এসব জঙ্গীদের কি উনি পূজা করবেন? তিনি বলেন, জঙ্গীদের শিকড়ের সন্ধান করা লাগে না, যিনি (খালেদা জিয়া) তাদের মদদ দিচ্ছেন, জঙ্গীদের মূল শিকড় যে সেখানেই সেটা খুঁজে দেখতে হয় না। যিনি ওদের পক্ষে সাফাই গাইছেন, শিকড়টি ওখানেই আছে কি-না সেটাই তদন্ত করে বের করতে হবে। দেশের জনগণও তা ভাল করেই জানে। আর শিকড় তো এখন নিজেই কথা বলছেন। কাজেই এদেরও রেহাই নেই। জনগণ এদের বিচার করবে। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে আইনজীবীরা কিভাবে দাঁড়ান- প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, যাদের কারণে ৩০ লাখ মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে, দুই লাখ মা-বোনকে ইজ্জত দিতে হয়েছে- সেসব যুদ্ধাপরাধীর পক্ষে একজন আইনজীবী কিভাবে দাঁড়ান? অর্থই কি সব? অনেকে আবার হুমকি দেন, সরকার পরিবর্তন হলে ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু মনে রাখবেন, শুধু যুদ্ধাপরাধীই নয়; যুদ্ধাপরাধী-রাজাকারদের দালাল ও দোসরদেরও জনগণ একদিন ঠিকই বিচার করবে। এটাও তাদের মনে রাখা উচিত। মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণের যৌথভাবে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেনÑ আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম রহমতউল্লাহ এমপি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মুহাম্মদ সাঈদ খোকন, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান। হেদায়তুল ইসলাম স্বপনের পরিচালনায় স্মরণ সভার শুরুতেই বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। বিকেল চারটায় আলোচনা সভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর একটা থেকেই ঢাকার দলীয় এমপি ও মেয়র-কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে মিছিল নিয়ে সমাবেত হন শত শত নেতাকর্মী। বিকেল তিনটার আগেই কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তন কানায় কানায় ভরে যাওয়ায় হলরুম বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মাইকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শোনেন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত আওমামী লীগ নেতাকর্মীরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪২ মিনিটের বক্তৃতার পুরোটাই ছিল আবেগঘন পরিবেশ। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে আরও বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুর খুনীদের মদদ দিতে পারে, পুরস্কৃত করতে পারে, যারা যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী করতে পারে, পার্লামেন্টে ভোট চুরি করে খুনীদের বিরোধীদলীয় নেতা বানাতে পারে- তারা যে সব ধরনের খুনের সঙ্গে জড়িত, জঙ্গীবাদের সঙ্গে জড়িত সেটা তো আর মানুষকে দেখানোর প্রয়োজন নেই। দেশের মানুষের দাবি ছিল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। আমরা বিচার করছি এবং রায় কার্যকরের মাধ্যমে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করছি। তবে এ বিচার করতে গিয়ে আমাকে অনেক হুমকি-ধমকি ও টেলিফোন পেতে হয়েছে। আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, কারও কাছে নতিস্বীকার করিনি। বঙ্গবন্ধু যে কাজটা (যুদ্ধাপরাধীদের বিচার) শুরু করেছিলেন, আমরা তা শেষ করব। প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, জন্মালে একদিন মরতেই হবে, সেটা আমি জানি। যতক্ষণ জীবন আছে, ততক্ষণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাব। মৃত্যুকে আমি কখনই ভয় পাই না। বার বার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি। আমার শুধু একটাই লক্ষ্য দেশকে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত করব। বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াব। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা আমরা বৃথা যেতে দেব না। বার বার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েই আমাকে চলতে হচ্ছে। জঙ্গী-সন্ত্রাসীদের কোন ঠাঁই এ দেশে হবে না। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য যে, একাত্তরে লাখ লাখ মানুষকে যারা হত্যা করেছে, সেই গণহত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে খালেদা জিয়া পতাকা তুলে দিয়েছিলেন। খালেদা জিয়া যাদের মন্ত্রী বানিয়েছিল, যুদ্ধাপরাধী হিসেবে তাদের ফাঁসি হয়েছে। তাদের যে মন্ত্রী বানিয়েছিলেন, তার শাস্তি কী হবে সেটাও দেশবাসীকে ভাবতে হবে। আজ দেশে মানুষের মাঝে এ সচেতনা সৃষ্টি করতে হবে, যারা যুদ্ধাপরাধীর দায়ে সাজাপ্রাপ্ত, যাদের ফাঁসি হয়েছে, তাদের জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী খালেদা জিয়া মন্ত্রী বানিয়েছেন, তাদের বিচারও প্রকাশ্যে জনগণের সামনে হওয়া দরকার। সেভাবেই সবাইকে জনমত গড়ে তুলতে হবে। আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করছি। যে অপরাধের কলঙ্ক আমাদের কপালে লেপন ছিল, তা লাঘব হচ্ছে রায় কার্যকরের মাধ্যমে। তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতি, ভোটের অধিকার নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দিয়ে সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তি দিয়ে রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেন। ভোটের অধিকার ও যাদের নাগরিকত্ব ছিল না তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে নাগরিকত্ব দেন। বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচার না করে উল্টো বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুনর্বাসন করেন। এই জিয়াউর রহমানের সময়েই অনেক যুদ্ধাপরাধী অর্থশালী, বিত্তশালী ও অগাধ ধন-সম্পদের মালিক হয়েছে। আজ বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ অনেক আগেই উন্নত-সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকত। যারা স্বাধীনতা চায়নি, বাঙালীর বিজয় মেনে নিতে পারেনি, তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশকে চিরতরে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু জনগণের সাহসিকতার কাছে তাদের সে ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। জিয়া কিভাবে মুক্তিযোদ্ধা হন? ॥ বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের সঙ্গে খুনী মোশতাক ও জিয়াউর রহমানরা জড়িত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুনী মোশতাক বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে গাদ্দারী করেছে। সে কিছুদিন রাষ্ট্রপতি থাকলেও পরে তাকে সরিয়ে দিয়ে সংবিধান লঙ্খন করে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসেন। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, যিনি ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের ঘটনার সঙ্গে জড়িত, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে যিনি বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পুরস্কৃত করেন, যুদ্ধাপরাধী-স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রী-উপদেষ্টা বানান, সেই জিয়াউর রহমান কিভাবে মুক্তিযোদ্ধা হন? কিভাবে স্বাধীনতায় কিংবা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হতে পারেন? তিনি বলেন, জিয়া নামে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। একখানা খেতাবও পেয়েছেন। কিন্তু কাজ কী করেছেনÑ দেশের স্বাধীনতাবিরোধিতা করেছেন, গণহত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়েছেন, পুনর্বাসন করেছেন। সংবিধান পরিবর্তন করে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছেন। তাহলে তিনি কিভাবে মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, দেশের স্বাধীনতা চেয়েছেন? তিনি বলেন, ’৭৫-এর পর দীর্ঘ ২১ বছর দেশের মানুষ ছিল শোষিত-বঞ্চিত, অধিকারহারা। ১৯টি ক্যুর নামে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা সামরিক অফিসার ও সৈনিককে হত্যা করেন এই জিয়া। কুখ্যাত শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী, একাত্তরে ১৫৭ জন মানুষকে হত্যাকারী আবদুল আলিমকে মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। গোলাম আযমকে দেশে ফিরিয়ে এনেছিলেন। আর তার স্ত্রী খালেদা জিয়া গোলাম আযমকে বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, বলা হয় জিয়া নাকি গণতন্ত্র দিয়েছেন! উনি প্রতি রাতে কার্ফু দিয়ে দেশ চালিয়েছেন। গণতন্ত্রের লেশমাত্র ছিল না। গণতন্ত্র নয়, উনি জাতিকে কার্ফু গণতন্ত্র উপহার দিয়েছিলেন। সব রেখে গেলাম, ফিরে কাউকেই পেলাম না ॥ শোকাবহ ১৫ আগস্টের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বার বার আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়েন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির জীবনে একটি কলঙ্কময় দিন। মানুষ একটা শোক সইতে পারে না আর আমি হঠাৎ করে বিদেশে বসে জানতে পারলাম আমার কেউ নেই। ১৫ আগস্টের হত্যাকা- কেবল কারবালার হত্যাকা-ের সঙ্গেই তুলনা করা যায়। কত অসহায় অবস্থায় চলতে হয়েছে। খুনীরা শুধু হত্যা করেছে তাই নয়, হত্যাকা-ের পর আমাদের পরিবারের ওপর জুলুম-নির্যাতন করেছে। তিনি বলেন, আমরা আপনজন হারালাম কিন্তু বিচার পর্যন্ত চাইতে পারলাম না। ইনডেমিনিটি অধ্যাদেশ জারি করে ঘাতকের দল বহালতবিয়তে থাকে। জিয়া ক্ষমতা দখল করে রাষ্ট্রপতি হয়ে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের পুরুস্কৃত করেন। কী অদ্ভুত দেশে আমরা বসবাস করি। এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, আমার কাছে কেউ বিচার চাইতে এলে ১৫ আগস্টের ঘটনার কথা মনে পড়ে যায়। কেউ কি আমাদের কথা ভাবেন? কেউ যখন বিচার চায় আমার মনে পড়ে আমরা তো বিচার চাইতে পারতাম না। সেদিন কাউকে পাশে পাইনি, পেয়েছিলাম শুধু দেশের মানুষকে। কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাইকে রেখে আমরা দু’বোন বিদেশে গেলাম। ফিরে এসে কাউকেই আর ফিরে পেলাম না। যাওয়ার সময় এয়ারপোর্টে কামাল, জামাল, শেখ রাসেল সবাই এসেছিল বিদায় জানাতে। কিন্তু ফিরে এসে বাবা-মা, ভাইসহ পরিবারের কাউকে পেলাম না। তিনি বলেন, বিদেশে থাকাকালে প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি আমাদের আর কেউ বেঁচে নেই। অনেকে বিচার চায় কিন্তু আমরা যে এত আপনজন হারালাম, তার বিচার চাইতেও পারিনি। ’৮১ সালে দেশে ফিরে এসে হাজার হাজার মানুষের মধ্যে বাবা-মা, ভাইদের খুঁজে বেড়িয়েছি। কাউকে পাইনি। তবে দেশের মানুষের মধ্যেই আমার বাবা-মা, ভাইদের খুঁজে পেয়েছি, তাদের স্নেহ-ভালবাসা ও সমর্থনে দেশকে আজ সব দিক থেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও ত্যাগের মহিমাকে ধারণ করে দলের নেতাকর্মীদের দেশের জন্য কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমর একটাই প্রতিজ্ঞা যে, দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে গিয়ে আমার বাবা-মাসহ সবাই জীবন দিয়ে গেছেন, দেশের সেই মানুষের মুখে আমি হাসি ফোটাবই। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবই। সব হারানোর শোক-ব্যথাকে বুকে পাথরচাপা দিয়েই আমি দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ আজ উন্নত-সমৃদ্ধের পথে যাত্রা শুরু করেছে। ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী আমরা কিভাবে পালন করব তার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে তিনি দেশবাসীরও সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেন।
×