ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম থাকলেও স্বীকৃতি পাননি আশরাফুল

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ৩১ আগস্ট ২০১৬

মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম থাকলেও স্বীকৃতি পাননি আশরাফুল

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ৩০ আগস্ট ॥ একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে ভারতের কামারপাড়া, পতিরাম ও শিলিগুড়ি প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে এফএফ নম্বর, জীবনবৃত্তান্ত ও ছবি রেকর্ডভুক্ত হওয়ার পর এবং পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সরবরাহকৃত আবেদন ফরমে একাধিকবার আবেদন-নিবেদন করেও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি একাত্তরের রণাঙ্গনের সৈনিক মোঃ আশরাফুল ইসলাম। জীবন বাজি রেখে দেশমাতৃকাকে উদ্ধারে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। যুদ্ধ করেছেন জয়পুরহাটের বিভিন্ন রণাঙ্গনে। মুক্তিযোদ্ধা আশরাফুল ইসলাম (এফএফ নং-৬৪৭৪) চাকরি থেকে অবসরে গিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে দাখিলকৃত আবেদন সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার ঘোড়াঘাট নিবাসী মৃত আকবর হোসেনের পুত্র আশরাফুল ইসলাম নওগাঁ সদর উপজেলা মৎস্য অফিসে সিনিয়র সহকারী মৎস্য অফিসার হিসেবে কর্তব্য পালন করে ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ভারতের শিলিগুড়িতে ২১ দিনের অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে ভারতের কালিয়াগঞ্জের ‘আম বাগান’ নামক স্থানে ৩৭৩ নং দলভুক্ত হয়ে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৭নং সাব-সেক্টরের অধীনে তৎকালীন জয়পুরহাট মহকুমার (বর্তমানে জেলা) বিভিন্ন থানা এলাকায় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। দেশ শত্রুমুক্ত হওয়ার পর ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে যুদ্ধকালীন কমান্ডার এমএ রাজ্জাকের (এফএফ নং-৬৩২৩) নেতৃত্বে তিনি দলবদ্ধ হয়ে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে তৎকালীন সেনাবাহিনীর অফিসার মোঃ শামীম আহম্মেদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দেন। ১৯৭৭ সালে তিনি সরকারী চাকরিতে যোগদান করেন। আশরাফুল জানান, অনেক আবেদন নিবেদনের পর গেল বছর ঢাকা মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ভারতীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা সেখানে রক্ষিত আছে। সেখানে ১২নং ভলিউমের ১১৭ পৃষ্ঠায় ক্রমিক নং ৭০৪১, এফএফ নং ৬৪৭৪-এ তার নাম রয়েছে। সেখানে তার নামসহ অন্যান্য সহযোদ্ধাদের নামের তালিকা পেয়ে ২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে তা দাখিল করেন। বর্তমানে আবেদনটি মন্ত্রণালয়ের জেএস শাখায় অবস্থান করছে বলে আশরাফুল জানান।
×