ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে আট পশুর হাট ॥ ৩৬৭ স্থানে জবাই

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ৩১ আগস্ট ২০১৬

চট্টগ্রামে আট পশুর হাট ॥ ৩৬৭ স্থানে জবাই

আহমেদ হুমায়ুন, চট্টগ্রাম অফিস ॥ ঈদ-উল- আযহাকে কেন্দ্র করে অস্থায়ী পশুর হাট ইজারা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। করপোরেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতবারের মতো এবারও চট্টগ্রাম মহানগরীতে স্থায়ী দুটি পশুর হাটের পাশাপাশি অস্থায়ী ছয়টি হাটে কোরবানির পশু বেচাকেনা হবে। এবার কোন অবস্থাতেই রাস্তায় পশুর হাট বসাতে দেয়া হবে না। যত্রতত্র পশু জবাইও করতে পারবেন না নগরবাসী। চসিক নির্ধারিত প্রায় ৩৬৭টি স্থানে পশু জবাই করতে হবে তাদের। কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায়ও নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। ঈদের দিনেই বর্জ্য অপসারণ শেষ করতে এবার করপোরেশনের নিয়মিত ২ হাজার কর্মচারীর পাশাপাশি আরও প্রায় ২ হাজার শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। ঈদের দিন সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত নির্ধারিত স্থানগুলো থেকে ২০০ গাড়ির মাধ্যমে তারা বর্জ্য সংগ্রহ করবে। চসিকের রাজস্ব বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, করপোরেশনের ইতিহাসে এবারই প্রথম অস্থায়ী পশুর হাট ইজারায় চসিক সর্বোচ্চ দর পেয়েছে। গত বছরের চেয়ে প্রায় ১ কোটি সাড়ে ২২ লাখ টাকা বেশিতে এবার নগরীর ছয়টি অস্থায়ী হাট ইজারা দেয়া হয়। গত রবিবার এ ছয়টি অস্থায়ী হাটের ইজারা শেষ হয়। এবার ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকায় এ ছয়টি অস্থায়ী হাট ইজারা দেয়া হয়। যেখানে গত বছর এ ছয়টি হাট ইজারা দেয়া হয়েছিল ২ কোটি ৬১ লাখ ৪২ হাজার টাকায়। বরিশালে বিক্রি হবে এক লাখ দেশী গরু খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল থেকে জানান, বরিশালে বেপারীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু সংগ্রহ করে স্থানীয়ভাবে মজুদ করা শুরু করেছেন। গরু ব্যবসায়ীরা জানান, দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্নস্থানে গড়ে ওঠা প্রায় ৫ সহস্রাধিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামার থেকে এবার কমপক্ষে একলাখ গরু স্থানীয় হাট-বাজারে বেচাকেনা হবে। ইতোমধ্যে খামারি ও পাইকারদের আগাম অর্থসহ দাদন দিয়ে রেখেছেন দক্ষিণাঞ্চলের গরু ব্যবসায়ীরা। বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্নস্থানে গড়ে ওঠা ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যায়ের খামার থেকেও ভালমানের গরু এবারের কোরবানির বাজারে আসবে। পাশাপাশি কুষ্টিয়াসহ উত্তরাঞ্চল থেকেও দক্ষিণের হাট-বাজারে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে গরু আসা শুরু করবে। তাই এবারও ভারতের গরুর ওপর নির্ভর না করে দেশী গরুতেই কোরবানির চাহিদা মেটাবেন বরিশালবাসী। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহখানেকের মধ্যেই দক্ষিণাঞ্চলে কোরবানির পশুর হাটগুলো জমতে শুরু করবে। গত বছর ঈদ-উল-আযহায় ভারতীয় গরু নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের উৎকণ্ঠা ছিল। ভারত সরকার গত বছরের মতো এ বছরও বাংলাদেশে বৈধ ও অবৈধভাবে গরু রফতানি বন্ধে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। তবে ভারত সরকারের এ নীতির কারণে সারাদেশের মতো দক্ষিণাঞ্চলের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকসহ গরুর খামারিরা যথেষ্ট লাভবান হচ্ছেন। তাই বরিশালবাসীকে আর ভারতের গরুর ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হচ্ছে না। এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ ভারতীয় গরুর আশা বাদ দিয়েই গত বছর থেকে কোরবানির যে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন এবারও তার পরিবর্তন ঘটেনি। বরিশালের স্থায়ী গরুর হাটের একাধিক ইজারাদার বলেন, ভারতীয় গরুর অবাধ আমদানিকালেও দক্ষিণাঞ্চলে পশু কোরবানিতে সে দেশের গরুর খুব একটা প্রভাব ছিল না। কারণ দক্ষিণাঞ্চলের সাধারণ মানুষের মধ্যে ভারতীয় গরুর গ্রহণযোগ্যতা নেই। কৃষিনির্ভর দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতিতে অনাদিকাল থেকেই পশুপালন একটি অবিচ্ছেদ্য বিষয় হয়ে আছে।
×