ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পানি ও বিদ্যুত দাবিতে তিস্তা ব্যারাজ কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ৩১ আগস্ট ২০১৬

পানি ও বিদ্যুত দাবিতে তিস্তা ব্যারাজ কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তার ব্যারাজের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বাসভবনে পানি ও বিদ্যুত না থাকার কারণে মঙ্গলবার দুপুরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। ডিমলা উপজেলার ডালিয়া দোয়ানী সিবিএ অফিসে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসে এসে শেষ হয়। বক্তাদের অভিযোগ দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া ডিভিশনের কোয়ার্টারে বসবাসরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গত দুদিন থেকে বিদ্যুত ও পানি পাচ্ছেন না। যান্ত্রিক বিভাগের বিদ্যুতের দায়িত্বে থাকা এসও রহুল আমিন এ বিষয়ে কোন খোঁজ খবর রাখেন না। তিনি অধিকাংশ সময় অফিসে না থেকে বাড়িতে বসে সরকারী বেতন ভাতাদি উত্তোলন করেন। বিদ্যুত না থাকার কারণে প্রতিনিয়ন পানি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সরকারীভাবে জেনারেটরের ব্যবস্থা থাকলেও তেল না থাকার অভিযোগে পানি উত্তোলন করা হচ্ছে না। চাঁপাই সদর হাসপাতালে তিন মাস পানি নেই স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ সদর আধুনিক হাসপাতালে গত তিন মাস ধরে বিশুদ্ধ খাবার পানিসহ সাধারণ পানি সরবরাহ একেবারে নেই। পানির এ হাহাকারে রোগী ও তাদের স্বজনরা ক্ষুব্ধ হলেও কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণে এগিয়ে আসছে না। বহু রোগী বাধ্য হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে চেলে যাচ্ছে। যাদের সামর্থ্য নেই তারা ও তাদের স্বজনরা বাইরে থেকে কিংবা হাসপাতালসংলগ্ন মহানন্দা নদী থেকে পানি সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাচ্ছে। হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে মহিলাদের ওয়ার্ড। সাধারণত মহিলাদের পানির চাহিদা থাকে বেশি। পানি না থাকার কারণে ওয়ার্ডসংলগ্ন টয়লেটের অবস্থা খুবই শোচনীয়। কোন রোগী ইচ্ছা থাকার পরও টয়লেটে যেতে পারে না। এমনকি টয়লেটের ভরাট হওয়া ময়লার গন্ধে আশপাশের বেডের কেউ টিকতে পারে না। অনেক রোগী রয়েছে যারা দু’সপ্তাহ চলে যাওয়ার পরও এক ফোঁটা পানি মেলেনি বলে জানায়। নদী থেকে পানি এনে অনেকে টয়লেট সারছে কিংবা গোসল করছে। পানির সমস্যার কথা কর্তৃপক্ষ অবগত হলেও এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ না নিয়ে কানপাড়া দিয়ে রয়েছে। আবাসিক চিকিৎসকরাও পানি সমস্যা নিয়ে বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোন সুরাহা করতে পারেননি।
×