ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সাব্বির আহমেদ

আমাকেই সচেতন হতে হবে

প্রকাশিত: ০৬:৫৮, ৩০ আগস্ট ২০১৬

আমাকেই সচেতন হতে হবে

ইদানীং বিরাজমান উত্তপ্ত পরিবেশকে সইতে ছাত্র সমাজকে একটু বেশিই সচেতন হতে হবে। চলতে হবে চোখ-কান খোলা রেখে। বোধ করি এতে যে কোন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠা সম্ভব। মনোবল না হারিয়ে সামনে বাড়তে হবে। যে কোন প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে অনুকূলীয় কিছু শিক্ষা নিতে হবে। নিজে হুটহাট সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বিশ্বস্ত কারও সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতে হবে। সর্বোপরি বাবা-মা কিংবা গুরুজনদের জানাতে হবে। কেননা যে কোন খারাপ শক্তি প্রথমেই ছাত্র সমাজকে অকল্যাণে ডাকে। বিশেষ করে তরুণ ও মেধাবী তো বটেই। কাজেই পা ফেলতে হবে খুব ভেবে-চিন্তে, জেনে-শুনে। ছাত্রবাস, হোস্টেল, ম্যাস কিংবা বাসায় ছাত্ররা যেখানেই থাকুক না কেন তাদের পেছনে কোন না কোনভাবে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে একটি বিপথগামী চক্র। আর এ চক্র উঠতি ছাত্র সমাজকে নিয়ে জাল বুনতে চায়। তবে কোনভাবেই তাদের জাল বুনতে দেয়া যাবে না। আমাদের এই সচেতনতাই তাদের জাল বুনাকে রুখে দেবে। অন্যদিকে বলার অপেক্ষা রাখে না যে, কম্পিউটার, ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোন মানুষের জীবনকে যতটা না সহজ করেছে তার চেয়ে বেশি ক্ষতি করছে তরুণ সমাজকে। তাই, ফেসবুক বা মোবাইলের মাধ্যমে অজানা অচেনাকে খুব কাছাকাছি বা আপন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে বোঝার চেষ্টা করতে হবে। নিজ থেকেই সচেতনতার বীজ বোপণ করতে হবে। যে কোন বিষয়ে খুব বেশি একটা আসক্ত হলে মোটেও চলবে না। দৃষ্টি সজাগ রাখতে হবে। আশপাশের সঙ্গীদের ভাল জানতে হবে। চলাফেরার ধরনও পর্যবেক্ষণ করতে হবে বৈকি। আপনার প্রতি আপনাকেই সুনজর দিতে হবে। অপরিচিত পথে চলা ও অসম্ভব জিনিস আবিষ্কারের সাহস রাখতে হবে ঠিক তবে সচেতনতার মাত্রাকে অনেকগুণ বাড়িয়ে নিতে হবে, কেননা এই তারুণ্যে শুভ যেমন উঁকি দেবে তেমনি নাড়া দিতে পারে অশুভ কিছু। তবে দীর্ঘস্থায়ী বাস্তবতাকে বুঝতে হবে। সহানুভূতির ভাষা বেশি আবেগী নয়। শেষ কথা, সমস্যা আসবেই এড়িয়ে যাওয়া যাবে না, চোখ কান খোলা রেখে মোকাবেলা করতে হবে। পাশাপাশি স্বপ্ন দেখতে হবে নিজেকে নিয়ে এবং দেশকে নিয়ে তো বটেই।
×