ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়েস্টহামের বিপক্ষে জোড়া গোল করেন স্টার্লিং, তিন ম্যাচের সবটিতেই গার্দিওলার জয়, পয়েন্ট টেবিলেও শীর্ষে

স্টার্লিংয়ের নৈপুণ্যে সিটির জয়

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ৩০ আগস্ট ২০১৬

স্টার্লিংয়ের নৈপুণ্যে সিটির জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জমে উঠেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ। মৌসুমের শুরু থেকেই অসাধারণ পারফর্ম করছে লীগের সেরা দলগুলো। চেলসি-ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মতো জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে ম্যানচেস্টার সিটিও। রবিবার ওয়েস্টহামের বিপক্ষে অনায়াসে জয় পেয়েছে পেপ গার্ডিওলার দল। রহিম স্টার্লিংয়ের জোড়া গোলের সৌজন্যে ম্যানসিটি ৩-১ গোলে হারিয়েছে ওয়েস্টহামকে। নিজেদের মাঠ ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই দুর্বার সিটিজেনরা। ম্যাচের সাত মিনিটেই গোল করে নিজেদের সমর্থকদের উচ্ছ্বাসের জোয়ারে ভাসার সুযোগ করে দেন রহিম স্টার্লিং। ১৮ মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফার্নান্দিনহো। কেভিন ডি ব্রুইনের করা ফ্রি কিক থেকে দারুণ এক হেডে প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ান তিনি। ফলে স্বস্তি নিয়েই বিরতিতে যায় গার্ডিওলার শিষ্যরা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধেই যেন ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় সফরকারী ওয়েস্টহাম। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে আর্থার মাসুয়াকুর ক্রস থেকে সিটির জালে বল জড়ান ওয়েস্টহামের মিখাইল এ্যান্তনিও। কিন্তু এরপরের সময়ে প্রতিপক্ষকে আর কোন সুযোগই দেননি সিলভা-জাবালেতারা। উল্টো ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের তৃতীয় গোল করে সিটিকে বড় জয়ের স্বাদ উপহার দেন রহিম স্টার্লিং। এই জয়ের ফলে নতুন একটি মাইলফলকও স্পর্শ করে ফেললেন পেপ গার্ডিওলা। ম্যানচেস্টার সিটির কোচ হিসেবে প্রথম ছয় ম্যাচের সবটিতেই টানা জয় তুলে নিয়েছেন তিনি। যা ম্যানচেস্টার সিটির ইতিহাসেরই প্রথম কীর্তি। তার আগে আর কোন কোচ সিটির প্রথম ছয় ম্যাচে টানা জয় পায়নি। শুধু তাই নয়, শনিবার চেলসি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচের সবটিতেই টানা জয় তুলে নেয়। যে কারণে সিটির জন্য ওয়েস্টহামের ম্যাচটি ছিল চাপও। পেপ গার্ডিওলা যে এ রকম চাপ খুব সহজেই জয় করতে পারেন তার প্রমাণটাও দিয়ে দিলেন আরেকবার। এই জয়ের ফলে তিন ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লীগে সবার উপরে অবস্থান করছে ম্যানচেস্টার সিটি। পয়েন্ট সমান হলেও তাদের পরে দুই ও তিন নাম্বারে অবস্থান যথাক্রমে চেলসি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। জার্মান বুন্দেসলিগার বেয়ার্ন মিউনিখ ছেড়ে চলতি মৌসুমেই ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দিয়েছেন গার্ডিওলা। ইউনাইটেডে যোগ দিয়েছেন তারই প্রতিদ্বন্দ্বী জোশে মরিনহো। আর ইতালিয়ান কোচ এ্যান্তনিও কন্তে যোগ দিয়েছেন স্পেশাল ওয়ানের সাবেক ক্লাব চেলসিতে। ক্লাব ফুটবলের সেরা তিন কোচ। লড়াইটা যে জমবে তার ইঙ্গিত শুরু থেকেই বুঝা যাচ্ছে। এই মুহূর্তেই এই তিন দলের পয়েন্ট সমান ৯। শুধু তাই নয়, খেলোয়াড় কেনাকাটায়ও গতবারের রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ। এরই মধ্যে খরচটা ৮৮ কোটি পাউন্ডে পৌঁছেছে। আর্সেনাল কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার এ ব্যয়ে যারপরনাই বিস্মিত। তিনি হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, এবার প্রিমিয়ার লীগের ব্যয় ১ বিলিয়ন পাউন্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে অনেক দূর। বেশির ভাগ ক্লাবই দল গুছিয়ে নিয়েছে। অসমাপ্ত কাজটুকু এ সপ্তাহেই শেষ হবে। ওয়েঙ্গারও ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড খরচের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এর মধ্যে ভ্যালেন্সিয়া থেকে জার্মান খেলোয়াড় ডিফেন্ডার মুস্তাফিকে ৩৫ মিলিয়ন পাউন্ডে ও দেপোর্তিভো লা করুনার স্ট্রাইকার লুকাস পেরেজকে ১৭ মিলিয়ন পাউন্ডে কিনতে রাজি হয়েছে গানাররা। আরও দু-একজন খেলোয়াড় কেনার পরিকল্পনা রয়েছে লন্ডন জায়ান্টদের। প্রিমিয়ার লীগের অন্য ক্লাবগুলোর তুলনায় আর্সেনালের ব্যয়টা খুবই নগণ্য। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তো এক পল পগবাকে কিনতেই খরচ করেছে প্রায় ৯০ মিলিয়ন পাউন্ড! সেখানে পুরো উইন্ডোতেই ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড বাজেট আর্সেনালের। ওয়েঙ্গারের তাই বিস্মিত হওয়ারই কথা। লীগের ব্যয়টা ১০০ কোটি পাউন্ড ছাড়িয়ে যাবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখবেন, বাকি কয়দিনে আরও কত কত ট্রান্সফার সম্পন্ন হয়। এটা হতে যাচ্ছে বিস্ময়কর বিষয়। খুব সম্ভবত সর্বকালের সবচেয়ে বড় ব্যয়।’
×