ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কাতালানদের হয়ে শততম জয় কোচ এনরিকের, লাস পালমাস ৫-১ গ্রানাডা, এ্যাথলেটিক বিলবাও ০-১ বার্সিলোনা

বার্সিলোনার কষ্টার্জিত জয়, শীর্ষে পালমাস

প্রকাশিত: ০৬:৪০, ৩০ আগস্ট ২০১৬

বার্সিলোনার কষ্টার্জিত জয়, শীর্ষে পালমাস

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কোন রকমে রক্ষা পেয়েছে বার্সিলোনা। স্প্যানিশ লা লিগায় রবিবার রাতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে কাতালানরা ১-০ গোলে পরাজিত করে স্বাগতিক এ্যাথলেটিক বিলবাওকে। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন ক্রোয়েশিয়ান মিডফিল্ডার ইভান রাকিটিচ। তবে লীগের শুরুর দিকে চমক দেখিয়ে চলেছে লাস পালমাস। রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সিলোনার মতো পরাশক্তিদের পেছনে ফেলে দলটি বর্তমানে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে। পরশু রাতে পালমাস ৫-১ গোলে উড়িয়ে দেয় গ্রানাডাকে। দুই ম্যাচ শেষে ৬ পয়েন্ট করে ভা-ারে আছে তিন দল রিয়াল, বার্সা ও পালমাসের। তবে গোল গড়ে সবার উপরে পালমাস। ম্যাচের ২১ মিনিটে বার্সার হয়ে গোলটি করেন রাকিটিচ। তবে আক্রমণভাগের দুই কা-ারি লিওনেল মেসি ও লুইস সুয়ারেজ হতাশ করেছেন দলকে। সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার বেনাট এক্সটেবারিয়ার ফ্রিকিক অল্পের জন্য গোলের ঠিকানা খুঁজে পায়নি। গোলটি হলে হয়ত ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারত স্বাগতিকরা। বার্সায় এখনও যোগ দেননি অলিম্পিকে স্বর্ণ জয়ী ব্রাজিলিয়ান দলের অধিনায়ক নেইমার ও ইনজুরি আক্রান্ত তারকা মিডফিল্ডার আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। যদিও এবারের মৌসুমে ডেনিস সুয়ারেজ, স্যামুয়েল উমটিটি ও আরডা টুরানকে দলে ভিড়িয়ে কাতালানরা তাদের শক্তি অনেকাংশেই বৃদ্ধি করেছে। বার্সিলোনার কোচ লুইস এনরিকে বলেছেন, টেম্পোর দিক থেকে বলতে গেলে ম্যাচটি বেশ আকর্ষণীয় ছিল। মৌসুমের এই পর্যায়ে সাধারণত এই ধরনের ম্যাচ দেখা যায় না। ম্যাচের ফলাফল আমাদের শক্তি বৃদ্ধি করেছে। সান মামেসে এ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে খেলাটা মোটেই সহজ নয়। আমি দারুণ খুশি। গোলপোস্টে মার্ক-আন্দ্রে টার স্টেগানের ফিরে আসাটাও চোখে পড়েছে। রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে মৌসুমের প্রথম ম্যাচে ৬-২ গোলের বিশাল ব্যবধানে জয়ের ম্যাচ থেকে বেশ পরিবর্তন করেন বার্সা কোচ এনরিকে। জয় পেতেও তাই বেগ পেতে হয়েছে চ্যাম্পিয়নদের। তবে এতে অখুশি নন কোচ। বরং তিন পয়েন্ট পেয়েই খুশি তিনি। এই ম্যাচেই বার্সার কোচ হিসেবে শততম জয় পেয়েছেন এনরিকে। তবে মাইল ফলকের ম্যাচটি খুব একটা স্মরণীয় করতে পারেননি দুই সেরা তারকা মেসি ও সুয়ারেজ। ম্যাচের শুরুতেই টুরানের একটি গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। বিরতির ঠিক আগে টুরান আরও একটি সুযোগ নষ্ট করেন। তার শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। দ্বিতীয়ার্ধে মেসি আরও দুটি ভাল সুযোগ নষ্ট করেন। প্রথমটি অবশ্য দুর্ভাগ্যই বলতে হবে আর্জেন্টাইন তারকার। বক্সের মাথা থেকে তার বাঁকানো শটটি অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দ্বিতীয়াটিতে তিনি বারপোস্টের ওপর দিয়ে মারেন। আরেক তারকা সুয়ারেজ যে সুযোগটি নষ্ট করেন তা অনেকটাই ক্ষমার অযোগ্য। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে বিলবাও গোলরক্ষক গোরকা ইরাইজোজকে একা পেয়েও বল মারেন তার শরীরে। ম্যাচে আধিপত্য ছিল বার্সারই। তবে তাদের আক্রমণের বেশিরভাগই ছিল এলোমেলো। পুরো ম্যাচে বিলবাওয়ের গোলে নেয়া বার্সিলোনার ১২ শটের মাত্র দুটি ছিল লক্ষ্যে। যা সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে তাদের জন্য সবচেয়ে কম। তবে এসব নিয়ে আপাতত ভাবছে না চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচ থেকে পুরো তিন পয়েন্ট পেয়েই স্বস্তি দেখা যায় বার্সা শিবিরে। নিজের শততম জয়ের চেয়েও এনরিকের স্বস্তি পুরো পয়েন্ট নিয়ে ফেরা। এনরিকে বলেন, ম্যাচের লড়াইটা আমরা শুরুতেই একতরফা বানিয়ে ফেলতে পারতাম, যদি কয়েকটা গোল করতে পারতাম। তারপরও আমার ছেলেরা ভালই খেলেছে। গোলদাতা রাকিটিচ বলেন, লা লিগার প্রায় প্রতি ম্যাচই একই ধরনের। এখানে অনেক চাপ থাকে, ম্যাচের আবহ পুরো পরিবেশ পাল্টে দেয়। দুটি দলই ভাল খেলেছে। কিন্তু দিনের শেষে জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল। এনরিকে গোলরক্ষক স্টেগানের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।
×