ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আদালতের নির্দেশ অমান্য করে গুলশানে বাড়ি দখলের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৬:২৭, ৩০ আগস্ট ২০১৬

আদালতের নির্দেশ অমান্য করে গুলশানে বাড়ি দখলের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে রাতের আঁধারে একটি পুরনো দোতলা বাড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে। বাড়িটির মালিক দাবিদার মহিলা আইনজীবী তাপসী রাবেয়া এ সংক্রান্ত একটি মামলাও দায়ের করেছেন। মামলায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রের মুখে বাড়ির লোকজনদের মারধরের পর বের করে দিয়ে দখলের অভিযোগ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত দায়েরকৃত মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে দশজনকে। অভিযুক্তদের পক্ষে একজন এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করেছেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গুলশান-২ এর ৭২ নম্বর সড়কের এন ই (এ) ব্লকের ৩ নম্বর বাড়িটি ৫০ কাঠা ৮ ছটাক জমির উপর অবস্থিত। এর মধ্যে দোতলা একটি বাড়িসহ সাড়ে ৩৯ কাঠা জমির বাদী প্রায় ত্রিশ বছর ধরে ভোগদখল করে আসছিলেন। সাড়ে ৩৯ কাঠা জমির অতিরিক্ত জমিতে মজিবুর রহমান, জলি রহমান, নিয়াজুর রহমান নিসা, মাহববুর রহমান জনি, নাফিজুর রহমান অপু, ফারজানা রহমান রক্সিরা বসবাস করেন। জমি সংক্রান্ত বিষয়াদি নিয়ে জলি রহমান ও আমিনুল ইসলাম চৌধুরীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মামলার বাদীর মামলা চলছে। গত ৪ আগস্ট রাত তিনটার দিকে একদল দখলকারী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে। দখলকারীরা বাড়িতে থাকা কেয়ারটেকার শেফালী বেগম, তার ছেলে আজিজ ও রোখসানা বেগমকে মারধর করে ভোর পাঁচটার দিকে বের করে দেয়। আহত অবস্থায় শেফালীকে গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দখলকারীরা বাড়ির আসবাবপত্র ভেঙ্গে চুরমার করে। দখলের সময় বাড়ি থেকে অন্তত ২৫ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ প্রায় ২ লাখ টাকা, দুইটি অস্ট্রেলিয়ান গাভি, দুইটি গাভির বাচ্চা, দশটি গৃহপালিত ছাগলও লুট হয়। মামলার বাদী ঢাকার সিএমএম আদালতের আইনজীবী তাপসী রাবেয়ার (৪৯) দাবি, এ সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের আপীল বিভাগে সিভিল মামলা এবং দেওয়ানী মামলাও রয়েছে। দেওয়ানীর মামলার মূলে তার অনুকূলে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ সংক্রান্ত নোটিসও বাড়ির সামনে লাগানো ছিল। দখলের সময় আদালতের নিষেধাজ্ঞার সাইনবোর্ড ভেঙ্গে চুরমার করে খুলে ফেলে দেয়। ঘটনার পর থানা মামলা না নিলে তিনি গত ৯ আগস্ট সিএমএম আদালতে মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে গত ১২ আগস্ট মামলাটি এজাহারভুক্ত করেন গুলশান মডেল থানা কর্তৃপক্ষ। মামলায় আনোয়ার হোসেন মোল্লা, নুরুল ইসলাম চৌধুরী, জলি রহমান, সালমা, নিয়াজুর রহমান নিসা, মাহবুবুর রহমান জনি, নাফিজুর রহমান অপু, ফারজানা রহমান রক্সি, আমিনুল ইসলাম চৌধুরী ও জহির আহমেদ চৌধুরীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, তিনি পবিবার নিয়ে ঘটনার পর থেকে আর ওই বাড়িতে ঢুকতে পারছেন না। বর্তমানে ধানম-িতে বোনের বাসায় অনেক কষ্ট করে বসবাস করতে হচ্ছে। বহিরাগত সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন রেখে দখলকারীরা বাড়িটি জোরপূর্বক দখলে রেখেছে। অভিযুক্তদের পক্ষে মামলায় আসামি হিসেবে উল্লেখিত আমিনুল ইসলাম চৌধুরী এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। ডিএনসিসির উচ্ছেদ অভিযান ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল-৫-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এসএম অজিয়র রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট সোমবার রাজধানীর ফার্মগেট ও গ্রীন রোড এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে। এ সময় ফুটপাথ দখলকারী ৭০-এর বেশি অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হয়। পাশাপাশি স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ এর অধীনে ২ জনকে ১৫ হাজার টাকা এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর অধীনে ৩ জনকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এদের বিরুদ্ধে ৫ টি মামলাও করা হয়। -বিজ্ঞপ্তি।
×