ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ

প্রকাশিত: ০৪:৩৪, ৩০ আগস্ট ২০১৬

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, নারায়ণগঞ্জ, ২৯ আগস্ট ॥ আলোচিত সাত খুনের দুটি মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি বর্তমানে পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মামুনুর রশীদ ম-ল আদালতে দ্বিতীয় দিনেও তার সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। সোমবার সকাল ১০টা থেকে বেলা সোয়া ২টায় পর্যন্ত জেলা ও দায়রা জজ বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে সাক্ষ্য দেন। আদালত তার সাক্ষ্য অসমাপ্ত রেখে আগামী ১ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে গত ২২ আগস্ট এই কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ অসম্পূর্ণ রেখে আদালত মুলতবি করা হয়েছিল। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, সকাল ১০টা থেকে বেলা সোয়া দুইটা পর্যন্ত আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে একটানা জবানবন্দীতে বলেন, ২০১৪ সালের ১০ আগস্ট সাত খুনের প্রধান আসামি কাউন্সিলর নূর হোসেনকে গ্রেফতারের পরোয়ানা জারির জন্য জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করেন। তদন্ত কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ ম-ল আদালতকে বলেন, মামলার আসামি র‌্যাবের চাকরিচ্যুত সৈনিক মহিউদ্দিন, সৈনিক আলী হোসেন, এমদাদুল হক, ল্যান্সনায়েক হিরা মিয়া, সিপাহি আবু তৈয়ব, ল্যান্সনায়েক বেলায়েত হোসেন, পূর্ণেন্দু বালা, সৈনিক বিডি আল আমিন শরীফ, সৈনিক আব্দুল আলীম, সৈনিক শিহাব উদ্দিন, করপোরাল মোকলেছুর রহমান, ল্যান্স করপোরাল রুহুল আমীন ও কনস্টেবল হাবিবুল্লাহকে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করার জন্য ২০১৪ সালের ৭ আগস্ট র‌্যাব হেড কোয়ার্টারে মহাপরিচালকের বরাবর আবেদন করা হয়। এভাবে তিনি আরও কিছু সংখ্যক আসামি গ্রেফতার ও রিমান্ডে নেয়ার বিষয়ে আদালতে সাক্ষ্য দেন। তার সাক্ষ্য প্রদান সম্পূর্ণ না হওয়ায় আদালত পরবর্তী তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ধার্য করেন। এর আগে সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এই মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ও র‌্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তা, লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, কমান্ডার এম এম রানা ও মেজর আরিফ হোসেনসহ ২৩ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। সাত খুনের ঘটনায় দায়েরকৃত দুইটি মামলায় মোট ১২৭ জন সাক্ষীর মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ ম-লসহ ১০৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। সর্বশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে।
×