ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ॥ অবশেষে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ৩০ আগস্ট ২০১৬

স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ॥ অবশেষে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ২৯ আগস্ট ॥ অপহরণ ও ধর্ষণের পর মাথা ন্যাড়া করা হতদরিদ্র হিন্দু পরিবারের সেই স্কুলছাত্রীর চাঞ্চল্যকর মামলা দীর্ঘ পাঁচ বছর দুই মাসেরও বেশি সময় পর অবশেষে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। সোমবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার বাদী সেই স্কুলছাত্রীর বাবার জেরা ও ভিকটিমের জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়। এর আগে রবিবার বিকেলে বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) কিরণ শংকর হালদার। মামলায় ২ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করা হয়। অন্যদিকে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেয়ার পর ফের রাজধানী ঢাকার মহিলা পরিষদের সেফ হোমে ফিরে যায় সেই ধর্ষিতা। জানা যায়, শ্রীবরদী উপজেলার ঘোনাপাড়া গ্রামের হতদরিদ্র হিন্দু পরিবারের মেয়ে কুমড়ী কাটাজান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণীর ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার পথে ২০১১ সালের ২০ জুন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার চৈতাজানি জামতলী এলাকার মতিউর রহমানের লম্পট পুত্র মাদ্রাসাছাত্র শাহজামাল ওরফে শাহ আলম কৌশলে তাকে প্রথমে মুদির দোকানে ও পরে পাশের বসতঘরে নিয়ে ভয় দেখিয়ে বিস্কুট ও পানি খাওয়ায়। এরপর সেই স্কুলছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে একাধিক দফায় ধর্ষণ করে লম্পট শাহ আলম। অন্যদিকে ওই স্কুলছাত্রী বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে ভেঙ্গে পড়ে তার স্বজনরা। ওই অবস্থায় ঘটনার চার দিনের মাথায় অর্থাৎ ২৩ জুন দুপুরে স্কুলছাত্রীকে অসুস্থ অবস্থায় বাড়ির কাছে নামিয়ে দিয়ে সটকে পড়ে অপরিচিত অটোরিক্সা। বাড়ির লোকজন বেরিয়ে তাকে দেখতে পায় পরনে জিন্সের ফুলপ্যান্ট, গায়ে হাফহাতা চেক গেঞ্জি ও ন্যাড়া করা মাথায় ক্যাপ পরিহিত অবস্থায়। ওই অবস্থায় উদ্ধারের তিন দিন পর কথাবার্তা বলতে শুরু করে মেয়েটি। সে ওই সময় তাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে ধর্ষণের লোমহর্ষক কথা জানায় পরিবারের লোকজনদের। অস্ত্র রাখার অপরাধে কিশোরের ১০ বছর সশ্রম কারাদ- নিজস্ব সংবাদদাতা, চাঁদপুর, ২৯ আগস্ট ॥ চাঁদপুরে অবৈধ অস্ত্র রাখার অপরাধে কেএম শামছুল হুদা ইশতি (১৬) নামে এক কিশোরের ১০ বছরের সশ্রম কারাদ- দিয়েছে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং শিশু আদালত। সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং শিশু আদালতের বিচারক মামুনুর রশিদ এ রায় দেন। কারাদ-প্রাপ্ত ইশতি চাঁদপুর শহরের মিশন রোড শ্রীশ্রী আশ্রমের উত্তর পাশের সৈয়দা ভবনের কাশেম খানের ছেলে। তার পিতা বিআইডাব্লিউটিতে চাকরি করেন, মা শামীমা সুলতানা স্কুলশিক্ষিকা। জানা যায়, ২০১২ সালের ১৮ নবেম্বর বিকেলে ইশতি নিজ ঘরে আমেরিকার তৈরি একটি পিস্তল নিয়ে নাড়াচাড়া করতে গিয়ে নিজের বাম হাতে গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনা জানতে পেরে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ পিস্তল ও ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। একই সময় ইশতিকে আটক রেখে শহরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে কারাগারে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় পরদিন ১৯ নবেম্বর চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করে পুলিশ।
×