ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শোক দিবসের অবমাননা ॥ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ৩০ আগস্ট ২০১৬

শোক দিবসের অবমাননা ॥ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ রামপাল আবুল কালাম ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সাদেক হোসেনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অসম্মান ও শোক দিবস যথাযথ নিয়মে পালন না করার অভিযোগে উপজেলা চেয়ারম্যান সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সোমবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাইদ ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, ২০১০ সালের ৩০ মার্চ ওই মহাবিদ্যালয়ে অধ্যক্ষ পদে সাদেক হোসেন যোগদানের পর থেকে নানা অনৈতিক কর্মকা- ও দুর্নীতি করে আসছেন। সর্বশেষ গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কলেজ পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের কাউকে কিছু না বলে সুপরিকল্পিতভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত না করে পূর্ণাঙ্গভাবে উত্তোলন করে এবং শোক র‌্যালিও করেননি। কয়েক বছরের শোক দিবসের ব্যানারে পট্টি লাগিয়ে ও শিক্ষার্থীদের কালো ব্যাচ ধারণ থেকেও বিরত রাখেন। এ বিষয় নিয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয়। পরে ব্যনারটি খুলতে গেলে সাদেক হোসেন বাধা দেন। একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কিতে তিনি চেয়ার থেকে পড়ে গিয়ে আহত হন। এ খবর শুনে উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে ওই অধ্যক্ষ নিজের অপরাধ ঢাকতে কলেজের সাবেক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও ২ প্রভাষকসহ ৫ জনের নামে একটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করে। তবে অধ্যক্ষ সাদেক এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ২৯ আগস্ট ॥ চিকিৎসকের অবহেলায় গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা নিয়ে অভিযোগ করতে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উল্টো রোগীর স্বজনদের বেধড়ক মারপিট করেন এবং থানায় অভিযোগ করে পুলিশ ডেকে আনেন। পুলিশ মৃত রোগীর আত্মীয় আরিফ ও একরামকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা স্বজনরা অভিযোগে উল্লেখ করেন, গাইবান্ধা সদর উপজেলার মধ্যধানঘড়া গ্রামের শিপন মিয়া বুকে ব্যথা অনুভব করলে সোমবার বেলা ১১টায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ সময় ইসিজি করার পর চিকিৎসকরা তার তেমন কোন সমস্যা নেই বলে কিছু ওষুধ লিখে দিয়ে ওই রোগীকে ফিরিয়ে দেয়। বাড়ি যাওয়ার সময় মাঝ পথে আবার গুরুতর অসুস্থ হলে শিপনকে ফের হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে কাকুতি মিনতি করলেও তারা কোন চিকিৎসা না দিয়ে সময় ক্ষেপণ করতে থাকেন। এ সময় শিপন (২৫) হাসপাতালেই মারা যায়। পরে দুপুর ১টার দিকে শিপনের স্বজনরা হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসারের কাছে অভিযোগ করতে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের মারপিট করে। তবে রোগীর স্বজনদের মারপিট করা এবং চিকিৎসকের অবহেলার মৃত্যুর কথা অস্বীকার করেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বিধান চন্দ্র সরকার।
×