ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কলঙ্কমুক্ত করতে তিন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এমডির নতুন মিশন

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ৩০ আগস্ট ২০১৬

কলঙ্কমুক্ত করতে তিন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এমডির নতুন মিশন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সরকার ব্যাংক মানেই চুরি, লুটপাট আর অনিয়ম, এই কলঙ্ক থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংককে মুক্ত করার মিশন ঘোষণা করেছেন নতুন তিন ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সোনালী, রূপালী ও অগ্রণী ব্যাংকে দায়িত্ব পেয়ে সকলেই বলেছেন, ব্যাংকের যেসব সূচক দুর্বল সেগুলো নিয়ে কাজ শুরু করেছেন প্রথম দিন থেকেই। আগামী তিন বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের হারানো গৌরব ফিরিয়েও আনতে চান তারা। ব্যাংকিং খাতে এই সরকারের দুই মেয়াদে অসংখ্য সফল উদ্যোগ রয়েছে। ব্যাংকিং সেবাকে তৃণমূলের মানুষের কাছে নিতে অসংখ্য মানবিক উদ্যোগ রয়েছে। আবার ক্ষমতাবানদের নাম ভাঙ্গিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করার বেশ কয়েকটি বড় নজিরও রয়েছে ব্যাংকিং খাতে। হলমার্ক, বিসমিল্লাহ গ্রুপের জালিয়াতি, বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাচ্চুর স্বেচ্ছাচারিতা ম্লান করেছে সরকারের অনেক সাফল্য। সোনালী, রূপালী এবং অগ্রণী ব্যাংকের নতুন তিন ব্যবস্থাপনা পরিচালকই সতর্ক অতীতের কেলেঙ্কারির বিষয়ে। এ প্রসঙ্গে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, আমার প্রথম কাজই হবে সোনালী ব্যাংকের এখন কি আছে সেদিকে নজর দেয়া এবং আরেকটি হলো আমি কোথায় যেতে চাই। আমি খুবই আশাবাদী এই কারণে যে সোনালী ব্যাংকে দুই-তিনটি দুর্ঘটনা ঘটার পরও ব্যাংক পড়ে যায়নি। সারা দেশে ক্রিমিনালের সংখ্যা এক শতাংশও না। কিন্তু এই এক শতাংশকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই সমস্ত অফিস-আদালত, কোর্ট-কাছারি, আইন। দায়িত্ব নিয়েই প্রথম দিনে পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান প্রধান। সেই সঙ্গে তিনি সহকর্মীদের সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনি বলেন, সব ব্যাংকের অবস্থা যে খুবই ভাল তা বলা যাবে না। তবে ননপারফর্মিং লোনগুলোকে কিভাবে পারফর্মিং করা যায় সেই কাজটাকেই অগ্রাধিকার দেব। একই সময়ে যেহেতু আমরা আইটিতে যাচ্ছি সুতরাং এসব ক্ষেত্রে ঝুঁকি এ্যাড্রেস করা যায় কিনা বা কত সঠিকভাবে এ্যাড্রেস করা যায় সেটাই হবে প্রথম কাজ। অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংক দুই জায়গা থেকেই সহযোগিতার আশ্বাস পেয়েছেন অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এটিকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাতে চান তিনি। অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস উল ইসলাম বলেন, সরকারী ব্যাংকগুলোর মধ্যে এই ব্যাংকটির অবস্থা সুখকর নয়। অবশ্যই এই ব্যাংকের ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা রয়েছে। আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ঋণখেলাপী। সেটা মোকাবেলায় সবার সহায়তা নিয়ে এগিয়ে যাবো। এখন আমরা সবাই এই ব্যাংকগুলোকে সঠিকভাবে এগিয়ে নেয়ার যুদ্ধে নিবেদিত।
×