ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরাসরি ভোট হচ্ছে না জেলা পরিষদ নির্বাচনে

প্রকাশিত: ২৩:৫৬, ২৯ আগস্ট ২০১৬

সরাসরি ভোট হচ্ছে না জেলা পরিষদ নির্বাচনে

স্টাফ রিপোর্টার॥ সরাসরি ভোট হচ্ছে না জেলা পরিষদ নির্বাচনে। স্থানীয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ভোটে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ মোট ২১ জন সদস্য নির্বাচিত হবেন। তবে পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এতে ভোটাধিকার পাননি জেলার সংসদ সদস্যরা। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে জেলা পরিষদ সংশোধন আইন-২০১৬ এর খসড়ায় নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম। তিনি বলেন, প্রতিটি জেলাকে জনসংখ্যা ও আয়তনের ওপরে ১৫টি ওয়ার্ডে ভাগের মাধ্যমে এই নির্বাচনের কাঠামো চূড়ান্ত করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম বলেন, ‘২০০০ সালের পুরোনো আইনের কয়েকটি বিধানে সংশোধন আনা হয়েছে। যা প্রথমে অর্ডিন্যান্স আকারে প্রকাশ করা হবে, পরে আইনে পরিণত করা হবে। প্রধানমন্ত্রী আগামী সংসদ অধিবেশনেই এটি সংসদে উত্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আইনে বলা হয়েছে, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের শপথ নেওয়ার সময় তাদের মায়ের নাম সংযুক্ত করতে হবে।’ জেলা পরিষদ নির্বাচন কবে অনুষ্ঠিত হবে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটা সরকারের বিষয়। সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে তারিখ নির্ধারণ করা হবে।’ ১৫ জন সদস্য কিভাবে দায়িত্ব পালন করবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এলাকা ও জনসংখ্যার ভিত্তিতে জেলা পরিষদকে ১৫ টি ভাগ করা হবে। প্রত্যেককে একটি করে এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হবে। তবে নারী সদস্যরা একেকজন তিনটি এলাকার দায়িত্ব পাবেন।’ তিনি বলেন, ‘আইনের ১০ (ক) ধারায় বলা হয়েছে, জেলা পরিষদের কোনও সদস্য ফৌজদারি মামলায় চার্জশিট প্রাপ্ত হলে, গ্রেফতার হলে অথবা তার নামে ওয়ারেন্ট জারি হলে তিনি বরখাস্ত হবেন।’ ১৭ (১) ধারায় বলা হয়েছে, জেলা পরিষদ হবে ২১ সদস্যের। যার মধ্যে একজন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও ৫ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য। তারা নির্বাচিত হবেন সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ওয়ার্ড কাউন্সিল ও মহিলা সদস্য, পৌরসভার মেয়র এবং কাউন্সিলর এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের ভোটে। ২০ (৩) উপ ধারায় বলা হয়েছে, জেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনও প্রার্থী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, ৬ মাসের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। ৩১ ধারায় বলা হয়েছে, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নির্বাহী ক্ষমতা থাকবে চেয়ারম্যানের কাছে। তবে তার অনুপস্থিতিতে কাউন্সিলরদের মধ্যে থেকে একজন বা সরকারি কর্মকর্তাও চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তবে সেটা সরকার কর্তৃক গেজেট আকারে প্রকাশ করতে হবে। শফিউল আলম বলেন, ‘আজকের বৈঠকে সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (এসটিপি)-২০১৫-৩৫, আরবান ট্রান্সপোর্ট পলিসি-২০১৫ এবং ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট রিপোর্ট-২০১৫ এর খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে। যা সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের এজেন্ডা ছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটি এসটিপি নামে পরিচিত হবে। যা ২০ বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। এ প্রকল্পের আওতায় এমআরটি ও বিআরটি হবে।’
×