অনলাইন ডেস্ক ॥ স্মার্টফোন প্রযুক্তিবান্ধব দুনিয়া চিত্রটাই যেন বদলে দিয়েছে। দিনে-রাতে স্মার্টফোনের পিছনে অনেকটা সময়ই ব্যয় হচ্ছে। সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে, ব্যবহারকারীদের স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে স্মার্টফোন। পরোক্ষভাবে মানুষের ব্রেইন পরিচালিত হয় স্মার্টফোনের দ্বারা।
নিত্যনতুন প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমাগত মানুষের শারীরিক এবং ব্রেইনের রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। আমাদের শরীরের ডোপামিন হরমোন সিস্টেমে হেরফের ঘটছে এর ফলে। ডোপামিন হল এমন একটি হরমোন, যা মানব মস্তিষ্কে ও শরীরে অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই হরমোনের নিঃসরণ আমাদের আবেগকে প্রভাবিত করে। গবেষণায় দেখা গেছে, স্মার্টফোনে আসক্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এটা অনেক সময়েই স্বাভাবিক থাকে না। একটি নোটিফিকেশনের জেরে তারা মুহূর্তের মধ্যে খুশি হয়ে ওঠে আবার মুহূর্তের মধ্যে অবসাদে চলে যায়। এর প্রভাব পড়ে তাদের রোজকার কাজকর্ম এবং ঘুমে। সহজে ঘুম না আসা নিত্য অভ্যাসে দাঁড়িয়ে যায়।
ডোপামিন হরমোন ঠিকভাবে উৎপাদিত না হওয়াকে পারকিনসন রোগ বলা হয়। বিভিন্ন চিকিৎসার মাধ্যমে ঠিক করতে হয় এই রোগ। এসব ছাড়াও দীর্ঘক্ষণ ঝুঁকে টেক্সট করার ফলে শিরদাঁড়ার বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে থাকে। স্ক্রিনের ব্রাইটনেস ঠিক না থাকলে প্রভাব পড়ে চোখে। পরিশেষে বলা যায়, স্মার্ট হওয়া ভাল, তবে হিসেবের আওতায় থেকে। বিজ্ঞানের আশীর্বাদ যেন অভিশাপে পরিণত না হয়, সে দিকে নিজেদেরই খেয়াল রাখতে হবে।
সূত্র: এবেলা।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: