ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিচারকদের চাকরি সংক্রান্ত শৃঙ্খলা বিধিমালা সুপ্রীমকোর্টের সুপারিশের আলোকে প্রণয়নের নির্দেশ

প্রকাশিত: ০৮:৩৩, ২৯ আগস্ট ২০১৬

বিচারকদের চাকরি সংক্রান্ত শৃঙ্খলা বিধিমালা সুপ্রীমকোর্টের সুপারিশের আলোকে প্রণয়নের নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সুপ্রীমকোর্টের সুপারিশের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরি সংক্রান্ত শৃঙ্খলা বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছে আপীল বিভাগ। আগামী ৬ নবেম্বরের মধ্যে ওই বিধিমালা প্রণয়ন করে তা প্রতিবেদন আকারে আদালতকে অবহিত করতে আইন মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপীল বিভাগের নয় বিচারপতির বেঞ্চ রবিবার এই আদেশ দেয়। আদেশের পর এ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বিচার বিভাগ আইন প্রণয়নের জন্য সরকারকে সরাসরি বলতে পারে না। আর এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশ দেয়া ঠিক হবে না। আদালত বলে, আপনারা যখন সংবিধান ও আইনের পরিপন্থী কিছু করেন তখনই আমাদের হস্তক্ষেপ করতে হয়। আদালত বলে, বিচারকদের শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার একটি খসড়া করেছিল সরকার। খসড়াটি ছিল ১৯৮৫ সালের সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালার হুবুহু অনুরূপ, যা ছিল মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী। এরপর আমরা জাজেস কমিটি গঠন করে দেই। ওই কমিটি একটি খসড়া বিধিমালা করে সরকারের কাছে পাঠায়। কিন্তু খসড়াটি আজও প্রণয়ন করা হয়নি। আদালত বলে, এই বিধিমালা প্রণয়ন না হওয়ায় নিম্ন আদালতের অনেক বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকার পরেও ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। এ ধরনের অনেক অভিযোগ ৫/৬ বছর ধরে মন্ত্রণালয়ে পড়ে আছে। রাষ্ট্র বনাম মাসদার হোসেন মামলাটি আপীল বিভাগের দৈনন্দিন কার্যতালিকার এক নম্বর ক্রমিকে ছিল। বেলা সাড়ে এগারোটায় মামলাটি শুনানির জন্য আসে। এ সময় মাসদার হোসেনের পক্ষে ব্যারিস্টার আমীর-উল-ইসলাম এবং রাষ্ট্রপক্ষে এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম উপস্থিত ছিলেন। আদেশ প্রদানের পূর্বে আদালত বলে, বিধিমালা প্রণয়নে সরকার ১৪ বছরেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি। সরকার যে খসড়া বিধিমালা করেছিল সেটি ছিল ‘জগাখিচুড়ি’ প্রকৃতির। আদালত বলে, মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে বিধিমালা/আইনটি করতে হবে। আমরা মনে করি সরকার এটি প্রণয়নে সহযোগিতা করবে।
×