জবি সংবাদদাতা ॥ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) হল আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থী ও আন্দোলনকারীরা হামলার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, জবি শাখা ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী এই হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ছাত্রলীগ বলেছে, তারা নয় ছাত্রদল ও শিবিরের কিছু নেতাকর্মী ছাত্রলীগকে বদনাম করার জন্য আন্দোলনকারীদের উপর এই চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়েছেন।
রবিবার সকালে ধর্মঘট চলাকালে আন্দোলনকারীরা প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিতে চাইলে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় কর্মরত একজন অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিকও হামলার শিকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। এদিকে ওই সাংবাদিককে মারধরের প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের উপর অভিযোগ এনে হামলার তীব্র নিন্দা এবং হামলাকারীদের বিরুদ্ধে যথযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (জবিসাস)। রবিবার দুপুর একটার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ছাত্রলীগের সকল ইতিবাচক সংবাদ বর্জনেরও ঘোষণা দেয়া হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শিক্ষার্থীরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবন ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে ক্যাম্পাসে মিছিল বের করে।
জবি শিক্ষক সমিতির জরুরী সভা
হলের দাবিতে আন্দোলন ও ক্যাম্পাসে ধর্মঘটের মতো উদ্ভূত পরিস্থিতে জরুরী সাধারণ সভা ডাকে জবি শিক্ষক সমিতি। রবিবার বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ সভা ডাকা হয়। সভা শেষে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানানো হয়। পুরাতন জেল খানার জায়গায় জাতীয় চার নেতার নামে ছাত্রছাত্রীদের হলের দাবির সঙ্গে তারা একমত।