ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

যুদ্ধাপরাধী বিচার ॥ ‘রাজাকাররা আমার বাবা ও অন্য ১৩ জনকে আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে হত্যা করে’

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ২৯ আগস্ট ২০১৬

যুদ্ধাপরাধী বিচার ॥ ‘রাজাকাররা আমার বাবা ও অন্য ১৩ জনকে আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে হত্যা করে’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ জামায়াতের সাবেক এমপি আব্দুল আজিজ ওরফে ঘোড়ামারা আজিজসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের প্রথম সাক্ষী মোঃ লিয়াকত আলী সরকার ওরফে রাজা মিয়া জবানবন্দী প্রদান করেছেন। জবানবন্দীতে বলেছেন রাজাকাররা আমার বাবা মুনসুর আলী সরকারসহ ১৪ জনকে আর্মি ক্যাম্পে ধরে নিয়ে হত্যা করেছে। জবানবন্দী শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবী সাক্ষীকে জেরা করেন। অসমাপ্ত জেরা করার জন্য আজ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ রবিবার এ আদেশ প্রদান করেছেন। সাক্ষীকে সাক্ষ্যদানে সহায়তা করেন প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট গাজী তামিম। সাক্ষী তার জবানবন্দীতে বলেন, আমার নাম মোঃ লিয়াকত আলী সরকার ওরফে রাজা মিয়া। আমার বর্তমান বয়স আনুমানিক ৬০ বছর। আমার ঠিকানা গ্রাম পাঁচগাছি শান্তিরাম, থানা- সুন্দরগঞ্জ, জেলা- গাইবান্ধা। আমি বিএসসি পরীক্ষায় পাস করেছি। বর্তমানে আমি কৃষি কাজ করি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ যখন শুরু হয় তখন আমি সুন্দরগঞ্জ থানাধীন ধর্মপুর ডিডি এম উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম ছাত্র ছিলাম। ঐ সময় আমার পিতা মুনসুর আলী সরকার ১০নং শান্তিরাম ইউনিয়ন পরিষদের একজন মেম্বার ছিলেন। সাক্ষী তার জবানবন্দীতে বলেন, আসামি আবু সালেহ মোঃ আব্দুল আজিজ মিয়া ওরফে ঘোড়ামারা আজিজ সুন্দরগঞ্জ থানা রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন। তার সহযোগী রাজাকার ছিল আসামি মোঃ রুহুল আমিন ওরফে মঞ্জু, আসামি আব্দুল লতিফ, আসামি আবু মুসলিম মুহাম্মদ আলী, আসামি মোঃ নাজমুল হুদা ওরফে নাজমুল আলম, ও আসামি মোঃ আব্দুর রহিমসহ আরও শতাধিক রাজাকার।
×