ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

জিএসপি সুবিধা না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি বেড়েছে ॥ তোফায়েল

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ২৯ আগস্ট ২০১৬

জিএসপি সুবিধা  না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি  বেড়েছে ॥ তোফায়েল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ জিএসপি সুবিধা স্থগিত থাকার পরও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্য রফতানি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তাই ওই দেশের বাজারে জিএসপি (অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা) থাকা কিংবা না থাকার বিষয়টি আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত। রফতানিতে নগদ সহায়তা প্রদান এবং সরকারী বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্ব বাজারে রফতানি বাড়ছে। এছাড়া বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, সরকার কঠোরভাবে জঙ্গী দমন করছে কিন্তু বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তাদের পক্ষ নিয়ে জাতিকে অপমান করছেন। বিএনপি নেত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে বাংলাদেশের মানুষ অবাক হয়েছে, বিস্মিত হয়েছে। রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, যেখানে নিহত জঙ্গীদের পরিবারের পক্ষ থেকেও লাশ গ্রহণ এমনকি তাদের মুখ দেখতেও চাচ্ছে না কেউ। সেখানে তাদের (জঙ্গী) পক্ষ নিয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন-খালেদা জিয়া দেশকে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে দেখতে চান না। তোফায়েল আহমেদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সফরের সঙ্গে যুদ্ধাপরাধের বিচার বিষয়ে কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। বরং আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যার দ-প্রাপ্ত আসামিদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত আনার বিষয়ে আলাপ করতে পারি। প্রসঙ্গত, গত শনিবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আজ পর্যন্ত সত্যিকারের কোন জঙ্গী ধরেনি। এই জঙ্গী, অমুক জঙ্গী, তমুক সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করতে করতে অনেককে ক্রসফায়ার করে মেরে ফেলা হয়েছে। এসব করে তারা খুব বাহবা নিচ্ছে। সর্বশেষ জঙ্গীদের মাস্টারমাইন্ড তামিম পুলিশী অভিযানে নিহত হওয়ার পরও বিএনপি নেত্রী সমালোচনা করেছেন। সম্প্রতি জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাহার ও জাতীয় জাদুঘর থেকে ওই পুরস্কারের মেডেল ও সম্মাননাপত্র সরিয়ে ফেলার সুপারিশ করে। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা পুরস্কার দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জিয়াউর রহমানকে সমপর্যায়ে নিয়ে যাওয়া অযৌক্তিক। এছাড়া জিয়ার শাসনামল অসাংবিধানিক বলে আদালত আগেই ঘোষণা করেছেন। এ কারণেই তার জাতীয় পুরস্কার প্রত্যাহারের বিষয়টি সামনে এসেছে। রামপালে বিদ্যুতকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশের কোন ক্ষতি হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন কোন পদক্ষেপ নেবেন না বলে আমি মনে করি। যারা এর বিরোধিতা করছে, তারা দেশের উন্নয়ন ব্যাহত করতে চায়। রফতানি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এখন বাংলাদেশের সাড়ে ছয় বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি হচ্ছে। গত ২০১৩ সালে জিএসপি সুবিধা স্থগিত করার সময় মাত্র ২৩ মিলিয়ন ডলারের জিএসপি সুবিধা পেত বাংলাদেশের প্লাস্টিক, সিরামিক ও তামাক শিল্প। এসব খাতে সুবিধা চলে যাওয়ায় সরকার নগদ প্রণোদনা দিয়ে রফতানি বাড়াতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহ দিচ্ছে। এছাড়া আরও কিছু পদক্ষেপ নেয়ায় দেশটিতে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি বেড়েছে। শুধু তাই নয়, রফতানি বাড়াতে পণ্য বহুমুখীকরণ ও বাজার সম্প্রসারণের গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এতে করে ইউরোপ ও আমেরিকার পাশাপাশি বিশ্বের অন্যান্য মহাদেশেও বাংলাদেশী পণ্য রফতানি হচ্ছে।
×