ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সুন্নি-কওমীপন্থী সংঘর্ষ ফটিকছড়িতে ৩ দিনেও মামলা গ্রেফতার নেই

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ২৯ আগস্ট ২০১৬

সুন্নি-কওমীপন্থী সংঘর্ষ ফটিকছড়িতে ৩ দিনেও মামলা গ্রেফতার নেই

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি, ২৮ আগস্ট ॥ চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর এলাকায় সুন্নি-কওমীপন্থীদের মধ্যে শুক্রবার বিকেলে সংঘটিত ঘটনার জের ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা এখনও বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করেছে। এ ঘটনায় নানুুপুর জমিরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কিন্ডার গার্টেনের পরিচালক মওলানা বেলাল উদ্দিনসহ উভয় পক্ষের ২৫ জন আহত হলেও ঘটনার ৩ দিন পরও কোন পক্ষই এখনও মামলা করেনি। ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম এবং ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইউসুফ মিয়া উল্লেখিত ঘটনা সম্পর্কে জনকণ্ঠকে বলেন, ঐ দিনের সংঘটিত ঘটনাটি অনাকাক্সিক্ষত হলেও মামলা দায়েরের উভয় পক্ষেরই অনীহার বিষয়টি রহস্যময়। তবে এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কোন দল বা গোষ্ঠীর ইন্দন আছে কিনা তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকেলে পূর্বঘোষিত বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, যুব ও ছাত্রসেনা কর্তৃক আয়োজিত নাজিরহাট পৌরসভার ঝংকার মোড়ে জঙ্গী-সন্ত্রাসবিরোধী ও মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকীর হত্যার বিচার দাবিতে সমাবেশ ছিল। সেখানে সংগঠনটির ফটিকছড়ির দক্ষিণ শাখার নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করতে ৫টি চাঁদের গাড়ি (জিপ) নিয়ে নানুপুরে আসে। এ সময় সড়কের যানজট এড়াতে বিকল্প পথে অর্থাৎ উত্তর নিশ্চিন্তাপুর সড়ক দিয়ে নাজিরহাট যাচ্ছিল। তাদের গাড়ির বহর জমিরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কিন্ডার গার্টেনের সামনে পৌঁছলে গাড়ি লক্ষ্য করে কে বা-কারা ইট-পাটকেল ছুঁড়ে। ঐ সময় গাড়ি থামিয়ে ছাত্র ও যুব সেনার কর্মীরা কিন্ডার গার্টেনের পরিচালক মাওলানা বেলাল উদ্দিনের কাছে অভিযোগ করে। তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করলে তাৎক্ষণিক উভয় পক্ষের মধ্যে বাক-বিত-া লেগে যায়। ওই সময় মাদ্রাসার এক ছাত্র বাক-বিত-ার ভিডিও চিত্র ধারণ করতে গেলে ছাত্র সেনার কর্মীরা মোবাইল ফোন কেড়ে নিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘটনার এক পর্যায়ে কিন্ডার গার্টেনের পরিচালক মাওলানা বেলাল উদ্দিনের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ও পাশের ওবাইদিয়া মাদ্রাসার ছাত্ররা এগিয়ে আসে। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে যুব ও ছাত্র সেনার কর্মীদের ওপর হামলা চালাতে গিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সংঘর্ষে জমিরিয়া কিন্ডার গার্টেনের পরিচালক মুহাম্মদ বেলাল উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, মুহাম্মদ শওকত, নওশেদ হোসেন, নিশাদ, শাহজাহান, নজিবুল হক আজাদ, জুনায়েদ, মাদ্রাসার, দাড়োয়ান মোস্তাফা, আবির, মোস্তাফা আহম্মদ, আনোয়ার, একরাম, বাবুচি মিনহাজ, মুহাম্মদ জাহেদ, ফয়েজ, হুমায়ুন কবিরসহ ২৫ জন।
×