ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সান্তাহারে নিম্নমানের চাল সংগ্রহ ॥ তদন্তে গড়িমসি

প্রকাশিত: ০৪:১০, ২৯ আগস্ট ২০১৬

সান্তাহারে নিম্নমানের  চাল সংগ্রহ ॥ তদন্তে গড়িমসি

নিজস্ব সংবাদদাতা, সান্তাহার, ২৮ আগস্ট ॥ বগুড়ার সান্তাহার এলএসডিতে সরকারীভাবে চাল সংগ্রহ অভিযানে নিম্নমানের চাল কেনা এবং সরকারীভাবে ধান সংগ্রহ অভিযানে কেনা ধানের বিপরীতে ফলিত চাল মজুদ না করে তার স্থলে দুই-তিন বছরের পুরনো রি-সটারিং করা চাল গুদামে মজুদ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হলেও তদন্ত কমিটি এখনও পর্যন্ত কাজ শুরু করেননি। তাৎক্ষণিক তদন্ত না করে নিম্নমানের চালগুলো সরিয়ে ফেলার সুযোগ দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, ১৬ আগস্ট খাদ্য অধিদফতরের মহা-পরিচালক ফয়েজ আহম্মেদ সান্তাহার এলএসডি পরিদর্শন করেন। এ সময় রাজশাহীর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ড. এসএম মুহসিন, বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ জামাল হোসেনসহ খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শনকালে ফয়েজ আহম্মেদ গুদামে মজুতকৃত খাদ্যশস্যের মান যাচাই করেন। যাচাইকালে সদ্য সংগৃহীত বোরো চাল ও সংগৃহীত বোরো ধান মিলিং করে প্রাপ্ত চালের মান সম্পর্কে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং কারিগরি কমিটি দ্বারা সদ্য সংগৃহীত চালসহ মজুদ খাদ্যশস্যের মান যাচাই করে খাদ্য অধিদফতরে প্রতিবেদন প্রেরণ করার জন্য তাৎক্ষণিক মৌখিক নির্দেশ প্রদান করেন। এ সময় ড. এসএম মুহসিন তদন্ত কমিটি করে প্রতিবেদন দাখিলের দায়িত্ব নিজ ইচ্ছায় মহা-পরিচালকের নিকট থেকে নিয়ে নেন। কিন্তু এর আট দিন অতিবাহিত হলেও তিনি কোন তদন্ত কমিটি গঠন না করে গড়িমসি করতে থাকেন। পরবর্তীতে খাদ্য অধিদফতরের উর্ধতন কর্মকর্তাদের চাপে ২৪ আগস্ট তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে একটি পত্র ইস্যূ করেন। ওই পত্রে সাত কার্য দিবস সময়সীমা দিয়ে করা তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক দফতরের সহকারী রসায়নবিদ মমিনুল ইসলামকে। কিন্তু তদন্ত কমিটি গঠন করার চার দিনেও তদন্ত কাজ শুরু না করায় সুষ্ঠু তদন্ত নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মোঃ মুমিনুল ইসলাম জানান, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের চিঠি পেয়েছি। আগামী এক সেপ্টেম্বর তদন্ত কমিটি সান্তাহার এলএসডিতে গিয়ে তদন্ত কাজ শুরু করবে। বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ জামাল হোসেন জানান, সান্তাহার এলএসডির চাল একটু লালচে হওয়ায় ডিজি এবং তার সঙ্গে আসা টিমের কর্মকর্তাদের সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, এ ধরনের চাল কেনা হয়ে থাকলে সরকার কোটি কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়বে। নিম্নমানের চাল কেনা প্রসঙ্গে সান্তাহার এলএসডির কর্মকর্তা আবুল হোসেন খান জানান, ধান এবং চাল কেনার ক্ষেত্রে কোন অনিয়ম বা নিম্নমানের চাল কেনা হয়নি।
×