ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বহিষ্কারের মতো কঠোর পদক্ষেপ নেবেন ট্রাম্প

অবৈধ অভিবাসীদের দিন শেষ

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ২৯ আগস্ট ২০১৬

অবৈধ অভিবাসীদের দিন শেষ

অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত করার বিষয়ে পরিকল্পনা ঘোষণা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে প্রার্থী হয়েছেন। শনিবার আইওয়ায় নির্বাচনী প্রচারাভিযান চালানোর সময় ‘এন্ট্রি-এক্সিট’ নামের ওই পরিকল্পনার কথা জানান। তিনি এ সময় মেক্সিকো থেকে অভিবাসী আগমণ বন্ধে সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। খবর এএফপি, বিবিসি ও নিউইয়র্ক টাইমস অনলাইনের। নিউইয়র্কের রিয়েল এস্টেট মুঘল ও রিয়ালিটি টিভি উপস্থাপক ট্রাম্প বলেন, নির্বাচিত হলে অবৈধ অভিবাসী আগমণ বন্ধে আমি দেয়াল নির্মাণসহ ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতির প্রয়োগ করব, যেন তারা সরকারের বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কর্মসূচীর সুবিধাভোগী হতে না পারে। কোন অভিবাসী যেন ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও অবৈধভাবে থেকে যেতে না পারে সেজন্য এক্সিট-এন্ট্রি ট্র্যাকিং সিস্টেমের আওতায় রাখা হবে। আমরা যদি অভিবাসীদের ভিসার মেয়াদ সময়সীমা মানতে বাধ্য না করি তবে তা সীমান্ত উন্মুক্ত করে দেয়ার মতোই হবে। প্রথাগত ধারার বিপরীতে থেকে নির্বাচনী দৌড়ে নামেন ট্রাম্প। প্রচারাভিযানের সময়টিতে বিতর্ক ছিল যেন তার নিত্যসঙ্গী। যুক্তরাষ্ট্রের হারানো সম্মান ফিরিয়ে আনতে তিনি বরাবর গুরুত্ব আরোপ করেন অভিবাসন ইস্যুটির ওপর। অভিবাসী আগমন ঠেকানোর স্বপ্নে বিভোর থাকেন ট্রাম্প। সম্প্রতি কয়েকটি সমাবেশে এ বিষয়ে সুর নরম করলেও আইওয়ায় তিনি আগের মতোই নিজের অভিবাসী অবস্থান তুলে ধরেন। কয়েকদিন আগেই ট্রাম্প বলেন যে, অনিবন্ধিত অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দিতে তিনি তড়িঘড়ি কোন পদক্ষেপ নেবেন না। কিন্তু শনিবার আইওয়ার ডেময় শহরে ট্রাম্প যা বললেন তা দেশটিতে বসবাসরত লাখ লাখ অনিবন্ধিত অভিবাসীকে নিঃসন্দেহে হতাশ করবে। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রথম দিন থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসী বহিষ্কারের কাজ শুরু করে দেব।’ তিনি ক্ষেদের সঙ্গে বলেন, ‘ওবামা-হিলারি’ প্রশাসন যেসব অবৈধ ও অপরাধী অভিবাসীদের মার্কিন সমাজে মেশার সুযোগ করে দিয়েছিল তাদের দেশ থেকে বহিষ্কার করাই হবে তার প্রথম অগ্রাধিকার। তিনি বলেন, ‘ট্রাম্পকে একটি ভোট দেয়ার অর্থ হবে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ভোট দেয়া অন্যদিকে হিলারিকে একটি ভোট দেয়ার অর্থ সীমান্ত খুলে দেয়া।’ ভাষণে ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসী শব্দটি ব্যবহার করলেও আনডকুমেন্টেড বা সরকারী কাগজপত্রে নাম না থাকা অভিবাসীদের বিষয়ে কি করা হবে সে বিষয়ে তিনি কিছুই বলেননি। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে অনিবন্ধিত অভিবাসীর সংখ্যা ১ কোটি ১০ লাখের মতো। তবে ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া অভিবাসীদের যে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তেই হবে সে কথা সাফ জানিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প। এই উদ্দেশ্যে তিনি যে ই-ভেরিফাইয়ের মতো যে কর্মসূচীর কথা বলেন, জেব বুশ, ক্রিস ক্রিস্টি এবং মিট রমনির মতো দলের অনেক সিনিয়র নেতা তার সঙ্গে একমত আছেন বলে জানা গেছে। ট্রাম্প তার ভাষায় অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে তর্জন গর্জন করলেও তার অভিবাসন প্রক্রিয়ার বিস্তারিত প্রকাশ করেননি। তার উপদেষ্টাদের মধ্যে অনেকে তাকে এ বিষয়ে নমনীয় অবস্থান গ্রহণের পরামর্শ দিলেও তিনি তাতে কান দেননি। তবে আফ্রিকান আমেরিকান ভোটারদের কর্মসংস্থানের জন্য তার প্রশাসন করবে, এইটুকু প্রতিশ্রুতি অবশ্য ট্রাম্প দিয়েছেন। তিনি বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের জন্যই আমেরিকার বৈধ নাগরিকদের কর্মসংস্থান করতে সমস্যা হচ্ছে। এক অবৈধ অভিবাসীর মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানোর সময় নিহত আইওয়ার তরুণী সারা রুটের পরিবারের সদস্যদর সমাবেশ স্থলে নিয়ে আসেন ট্রাম্প।
×