অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সাভারে চামড়া শিল্পনগরীতে সিইটিপির দুটি মডিউল প্রস্তুত। তবে বর্জ্য অপসারণে সেখানকার ১৫৪টি শিল্প ইউনিটের মধ্যে কারখানা থেকে সিইটিপির সঙ্গে সংযোগ লাইন সম্পন্ন করেছে মাত্র ছয়টি কারখানা।
নিজেদের কাজ বাকি থাকলেও নানা অজুহাত তুলে বাংলাদেশ ট্যানার্স এ্যাসোসিয়েশন (বিটিএ) বলছে, বর্তমান অবস্থায় সেখানে ট্যানারি চালু করলে আরেকটি হাজারীবাগ হবে সাভারে। তবে বর্জ্য শোধনে শতভাগ প্রস্তুতির কথা জানিয়ে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মালিকপক্ষের অসহযোগিতার কারণেই চালু করা যাচ্ছে না সিইটিপি। বিভিন্ন পর্যায়ে চলছে সাভারে চামড়া শিল্পনগরীতে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার সিইটিপির নির্মাণকাজ। ১৭ একর জমির ওপর ৪৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে চারটি মডিউলের আধুনিক এ স্থাপনাটি, যার মাধ্যমে প্রতিদিন শোধন হবে ২৫ হাজার ঘনমিটার তরল বর্জ্য। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৪ সালের মার্চে শুরু হয় এর নির্মাণকাজ। ১৮ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও সময় বাড়ানো হয়েছে পাঁচবার। তবে বাড়ানো হয়নি প্রকল্প ব্যয়। সর্বশেষ গেল জুনের মধ্যে সিইটিপির নির্মাণকাজ শেষ করতে বলা হলেও এখন পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে দুটি মডিউলের প্রায় শতভাগ কাজ। আর ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে বাকি দুটির অবকাঠামো নির্মাণকাজ। ট্যানারি মালিকদের সংগঠন বিটিএ বলছে, এখনও হয়নি কারখানা থেকে সিইটিপিতে বর্জ্য সরবরাহের সংযোগ লাইন। তবে কিছুটা ভিন্ন কথা সেখানে কার্যক্রম শুরু করা কারখানা কর্তৃপক্ষের। বর্জ্য শোধনে নিজেদের শতভাগ প্রস্তুতির কথা জানালেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। তারা বলেন, কেন্দ্রীয় এ বর্জ্য শোধনাগার একদিকে যেমন পার্থক্য গড়ে দেবে হাজারীবাগে গড়ে ওঠা চামড়া শিল্প ও সাভারে গড়ে তোলা চামড়া শিল্পের মধ্যে, একই সঙ্গে গড়ে দেবে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের শক্তিশালী ভিত।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: