ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভুল চিকিৎসায় গৃহবধূর স্তন কর্তন: শেরপুরে ঢামেক চিকিৎসক শরীফ ফের হাজতে

প্রকাশিত: ০২:২২, ২৮ আগস্ট ২০১৬

ভুল চিকিৎসায় গৃহবধূর স্তন কর্তন: শেরপুরে ঢামেক চিকিৎসক শরীফ ফের হাজতে

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ শেরপুরে ভুল চিকিৎসায় গৃহবধুর স্তন কর্তনের ঘটনায় দায়ের করা চাঞ্চল্যকর মামলায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) এর বার্ণ ও সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক শরীফুল ইসলাম শরীফকে ফের জেল হাজতে যেতে হয়েছে। ২৮ আগস্ট রবিবার বিকেলে অর্ন্তবর্তীকালীন জামিনে থাকা ডাঃ শরীফের জামিন স্থায়ীর বিষয়ে উভয়পক্ষের শুনানী শেষে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোমিনুল ইসলাম তা নাকচ করে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর পরপরই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। অন্যদিকে ওই চাঞ্চল্যকর মামলার দীর্ঘ ৮ মাস পরও অপর আসামী ময়মনসিংহের কুন্ডু প্যাথলজির মালিক ডাঃ কে.কে কুন্ডুকে গ্রেফতার ও মামলার তদন্ত শেষ না করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জেলা মহিলা পরিষদ। অবিলম্বে তাকে গ্রেফতারসহ উভয়কে দ্রুত বিচারের মুখোমুখি করা না হলে ফের বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলেও মহিলা পরিষদ নেতৃবৃন্দ আভাস দিয়েছেন। জানা যায়, গত বছরের ১৫ নভেম্বর ভুল চিকিৎসায় রাজধানী ঢাকার একটি ক্লিনিকে শ্রীবরদী উপজেলার কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের ভুতনীপাড়া গ্রামের এক গৃহবধূর বাম স্তনে ক্যান্সার রয়েছে বলে তা কেটে ফেলেন ডাঃ শরীফ। পরবর্তীতে বায়োপসি পরীক্ষায় দেখা যায় ওই স্তনে কোনো ক্যান্সার নেই। ওই ঘটনায় গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর শেরপুরের সিআর আমলী আদালতে ডাঃ শরীফ ও কুন্ডু প্যাথলজির মালিক ডাঃ কে.কে কুন্ডুকে আসামী করে একটি নালিশী মামলা দায়ের হলে ৪ জানুয়ারি আদালতের নির্দেশে মামলাটি রেকর্ড হয়। ওই মামলার দীর্ঘ সাড়ে ৪ মাস পর ২০ মে শহরের নারায়ণপুর এলাকার মুন্নী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রাইভেট প্রাকটিসরত অবস্থায় সেই সার্জারী বিশেষজ্ঞ ডা. শরীফুল ইসলাম শরীফকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিম্ন আদালতে দফায় দফায় জামিন নাকচ এবং ২৪ দিন হাজতবাসের পর ১৩ জুন জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে ভিকটিমের মেডিকেল রিপোর্ট প্রাপ্তি পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীীন জামিনে মুক্তি পান ডাঃ শরীফ। ইতোমধ্যে ২ আগস্ট মহাখালী ক্যান্সার ইনস্টিটিউট থেকে ভিকটিমের স্তন পরীক্ষায় ক্যান্সারের কোন অস্তিত্ব নেই মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল হলে ওই প্রতিবেদন ও জামিনের বিষয়ে শুনানীর জন্য আসামীপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৮ আগস্ট তারিখ ধার্য হয়।
×