ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সব প্রকল্প শতভাগ বাংলায় প্রণয়ন করা হবে ॥ পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশিত: ০১:৫৫, ২৮ আগস্ট ২০১৬

সব প্রকল্প শতভাগ বাংলায় প্রণয়ন করা হবে ॥ পরিকল্পনামন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, এখন থেকে সব প্রকল্প শতভাগ বাংলায় প্রণয়ন করা হবে। আর বিদেশী উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থায়নে নেয়া প্রকল্পগুলো বাংলার পাশাপাশি ইংরেজিতে অনুবাদ করে দেয়া হবে। মন্ত্রী বলেন, যত ভালো প্রকল্পই হোক, জনগণের সক্রিয় সম্পৃক্ততা না থাকলে তা টেকসই হবে না। তাই প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য জনগণের সম্পৃক্তা বাড়ানো হবে। এজন্য প্রকল্প এলাকায় বাংলায় সাইনবোর্ড টাঙানো, সাইনবোর্ডে প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্যের উল্লেখ রাখা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। রবিবার বিকেলে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এক পরামর্শ সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত পাবলিক প্রাইভেট স্টেক হোল্ডার কমিটি (পিপিএসসি) এ সভার আয়োজন করে। সরকারী কেনা-কাটার বাস্তবায়ন পর্যায়ে আরও বেশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য জনগণকে কীভাবে সম্পৃক্ত করা যায় সেটি নিয়ে কাজ করছে পিপিএসসি। রবিবার এ কমিটির ১০ম সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি ও পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এতে সভাপতিত্ব করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গবর্নেন্স এন্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) গবেষক ড. মির্জা হাসান। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাস্তবায়ন, মূল্যায়ন ও পরীবিক্ষণ বিভাগের (আইএমইডি) সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, বিশ্বব্যাংকের লিড প্রকিউরমেন্ট স্পেশালিস্ট ড. জাফরুল ইসলাম এবং সেন্টাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) মহাপরিচালক ফারুক হোসেন। সভায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থা, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা তাদের মতামত তুলে ধরেন। সভায় পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ২০৪০ পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে উন্নয়নের টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে। আমাদের সম্পদ সীমিত। এই সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে স্বল্প সময়ে লক্ষ্যে পৌছুঁতে হবে। এজন্য সম্পদের কোনো প্রকার অপচয় করা যাবে না। মন্ত্রী বলেন, আগামী মাস হতে একনেকে প্রকল্প অনুমোদনের সময় সংশ্লিষ্ট প্রকল্প এলাকার জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় মানুষদের ভিডিও কনফারেন্সে বিষয়টি অবহিত করা হবে। তুলে ধরা হবে প্রকল্পের বিস্তারিত লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, ব্যয়ের বিস্তারিত তথ্য। প্রকল্প বাস্তবায়ন ও রক্ষণাবেক্ষনে সংশ্লিষ্টদের সক্ষমতা ও দক্ষতা আরও বাড়ানোরও তাগিদ দেন তিনি। মূল প্রবন্ধে ড. মির্জা প্রকল্পের বাস্তবায়ন পর্যায়ে কমিউনিটি মনিটরিংয়ের ওপর জোর দেন। এতে বলা হয়, স্থানীয় সরকারের উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন অবকাঠামোগত প্রকল্পে স্থানীয় কমিউনিটিকে যুক্ত করা গেলে সুফল পাওয়া যাবে। এতে প্রকল্পের কাজের গুণগত মান ও দীর্ঘস্থায়ীত্ব নিশ্চিত করা যাবে। প্রসঙ্গত, সরকারী কাজ ও সেবার মান উন্নত করার জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রীর নেতৃত্বে পিপিএসসি পুনর্গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিতে সরকারী কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞ সংগঠন, বেসরকারি উন্নয়ন ও গবেষনা সংস্থার প্রতিনিধিরা রয়েছেন। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগ, বিআইডিএস, টিআইবি, সিপিডি, পিআরআই, ব্র্যাক, এফএনবি, ঢাকা রিপোটার্স ইউনিট, ইকোনোমিক রিপোটার্স ফোরাম, বেসিস, এফবিসিসিআই, ডিসিসিআই, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট, স্থপতি সংসদ ইত্যাদি। বিআইজিডি এ কাজে সরকারকে কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছে।
×