ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অর্থনীতি সামাজিক প্রতিটি খাতে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে এগিয়ে ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ২৮ আগস্ট ২০১৬

অর্থনীতি সামাজিক প্রতিটি খাতে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে এগিয়ে ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, অর্থনীতি ও সামাজিক প্রতিটি খাতে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে এগিয়ে। শনিবার বিকেলে পাবলিক লাইব্রেরীর শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। তিনি বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র ছিল, এখনও আছে। আমরা আলোচনার মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান নানা সমস্যার সমাধান করেছি। বর্তমানে দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান সমস্যা নেই বললেই চলে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশ সবক্ষেত্রে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে। আর কোন কোন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারতকেও পেছনে ফেলেছে। বর্তমানে দেশের রফতানি ৩৪.৫ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে। রিজার্ভের পরিমাণ ৩০ বিলিয়ন পার হয়েছে। বর্তমান রেমিট্যান্স ১৫ বিলিয়নের ওপরে। তিনি বলেন, আমরা চাই না সুন্দরবন নষ্ট হোক। সবকিছু বিবেচনা করেই রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যেসব দল রামপাল নিয়ে আন্দোলন করে তাদের মধ্যে কোন কোন দল আজ শেষ হওয়ার পথে। তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু আকর্ষণীয় ব্যক্তি ও নেতা ছিলেন। বিশ্ব নেতারা তাঁকে ঘিরে ধরে তাঁর সুনাম করতেন। তিনি ছিলেন বাঙালী জাতির জন্য পরশপাথর। তাঁর ছোঁয়ায় নিরস্ত্র বাঙালী সশস্ত্র হয়ে যুদ্ধ করেছে, দেশ স্বাধীন করেছে। তিনি সপরিবারে তাঁর জীবন দেশের মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় ৪৪ বছর পর জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান করেছে। এটি অত্যন্ত লজ্জার। যে মানুষটি আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে সে মানুষকে স্মরণ করতে আমরা যদি একটি অনুষ্ঠান করতে না পারি তাহলে তা মেনে নেয়া যায় না। তিনি বলেন, একটি প্রজন্ম আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে জানে না। আমি যখন ভাইভা বোর্ডে সাত বীরশ্রেষ্ঠের নাম বলতে বলি তখন অনেক তরুণই উত্তর দিতে পারে না। এটি অত্যন্ত হতাশার। আমি এর দায় তরুণদের দেব না। এ দায় আমার, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার। আমাদের তরুণরা যদি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে তাহলে তাদের বিপথে যাওয়া সম্ভব হবে না। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল বাঙালী জাতি ও বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য। তিনি আমাদের একটি স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছেন। কিন্তু তাঁর হত্যার পেছনে জড়িতদের আমরা এখনও চিহ্নিত করতে পারিনি। শুধু হত্যাকারীদের নয়, তাঁর হত্যার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করার মাধ্যমে আমাদের ঋণ শোধ করতে হবে। তিনি বলেন, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থাকলে জঙ্গীবাদের উত্থান হবে না। তাই জঙ্গীবাদকে নির্মূলে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়কে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মেনে নিয়ে কাজ করতে হবে। পোর্ট সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে ঘাতকরা তাঁর নাম-নিশানা দেশ থেকে মুছে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু নেই। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য সত্তা। তিনি আমাদের জন্য সুনির্দিষ্ট আদর্শ রেখে গেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মিশন ও ভিশনে যদি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থাকে তাহলে সেখানে কখনও জঙ্গীবাদের উত্থান হবে না। তাই আমাদের রাজনীতি, সমাজনীতি, শিক্ষাব্যবস্থা সবকিছুতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মেনে নিয়ে কাজ করতে হবে। এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান কাইয়ুম রেজা চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু কত বড় মাপের নেতা ছিলেন তা বলে শেষ করা যাবে না। এ মহান নেতার সুযোগ্য নেতৃত্বই আমাদের স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছে। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সবুর খান বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো মহান ও বড় মাপের নেতা এ দেশে আর হয়নি এবং হবেও না। তিনি মাটি ও মানুষের কাছাকাছি থেকে রাজনৈতিক দীক্ষা নিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যখন অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই পাকিস্তানী কুচক্রী মহল তাকে হত্যা করে এ দেশের উন্নয়নকে ব্যাহত করতে। নতুন প্রজন্মকে তাঁর আদর্শ থেকে শিক্ষা নিয়ে জীবন গড়তে হবে। এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও সমিতির সাবেক সভাপতি শফি সামী বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাজীবন নিপীড়িত মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তাঁকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে যে কলঙ্কজনক অধ্যায় রচিত হয়েছে, তাঁর পলাতক খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার মাধ্যমে তা দূর করতে হবে।
×