ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গুলশান, বনানী ও মহাখালীর ব্যবসায়ী এবং ভবন মালিকদের সঙ্গে বৈঠক

উন্নত নগর গড়তে তিন বিষয়ে যত্নবান হোন ॥ মেয়র আনিসুল

প্রকাশিত: ০৪:৪০, ২৮ আগস্ট ২০১৬

উন্নত নগর গড়তে তিন বিষয়ে যত্নবান হোন ॥ মেয়র আনিসুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নাগরিকদের মাঝে উন্নত নগর সম্পর্কে সচেতনা তৈরিতে ও আইন বাস্তবায়নে সকল শ্রেণীর নাগরিকদের সহায়তা পেতে এবার এলাকাভিত্তিক নাগরিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সভা করছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক। তৃণমূলে সরকার কর্তৃক ও সিটি কর্পোরেশনের গৃহীত নানা উদ্যোগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই এসব সভা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মেয়র। শনিবার সকালে রাজধানীর গুলশান ২নং গোলচক্কর এলাকায় ডিএনসিসির নতুন ভবনে অঞ্চল-৩ এর আয়োজনে মেয়র আনিসুল হকের নেতৃত্বে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে গুলশান, বনানী ও মহাখালী এলাকার প্রায় ২০০ জন ব্যবসায়ী ও ভবন মালিক উপস্থিত ছিলেন। সভায় মেয়র ব্যবসায়ী ও ভবন মালিকদের তিনটি বিষয়ে যতœবান হতে পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, যেসব ভবন গত দু’বছরের মধ্যে রং করা হয়নি সেগুলো এ বছর ডিসেম্বর মাসের মধ্যে মার্জিত মানের রং করে ফেলতে হবে। সুন্দর পরিচ্ছন্ন সিটি হিসেবে ডিএনসিসিকে দেখতে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন অতি জরুরী। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা আপনাদের দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড অন্য কারও বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ড হিসেবে ব্যবহৃত হতে দেবেন না। আপনার সাইনবোর্ড কেবল আপনার দোকান বা প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি বহন করবে। শহরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে আপনাদের নিয়ম করে নির্দিষ্ট স্থানে আবর্জনা ফেলতে হবে। প্রতিদিন সিটি কর্পোরেশনের কর্মীবাহিনী সেই আবর্জনা সরিয়ে ফেলবে। স্থানীয় এক ভবন মালিকের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, শহরের পার্কগুলোর মালিকানা মূলত রাজউকের। তিনি সেগুলোর মালিকানা সিটি কর্পোরেশনে ন্যস্ত করার জন্য প্রস্তাবনা দিয়েছেন। সেটি সম্ভব হলে ডিএনসিসি নিজস্ব পরিকল্পনার মাধ্যমে সেগুলোর যথাযথ সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা নিবে। মেয়র বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা আপনাদের এসব সভার মাধ্যমে সতর্ক করছি। এরপর থেকে আপনারা নগরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে ও সিটি কর্পোরেশনের নিয়ম মানতে চেষ্টা না করলে আমরা আইন লংঘনকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে বাধ্য হব। প্রতিটি মহলায় বসবাসরত সকল শ্রেণীর নাগরিকদের সঙ্গে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সভা করে সচেতনতা তৈরিতে এসব সভা বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। এক সময় মানুষ আমাদের কথা শুনত না। এখন তারা দেখতে পাচ্ছেন নগরীকে রক্ষায় আমরা বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। যার বাস্তবায়ন ইতোমধ্যেই জনগণ দেখতে পাচ্ছেন। ফলে সবার মাঝে এখন আমাদের প্রতি আস্থা তৈরি হচ্ছে। আশা করি আগামী ২ বছর পর এমন সময় আসবে যখন সবাই দেখতে পাবেন যে, সত্যি সত্যিই ঢাকা উত্তর সিটির চেহারা পাল্টে যাবে। আমরা এই লক্ষ্যেই নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেসবাহুল ইসলাম, অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান শরীফ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ মমতাজউদ্দিন, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ মফিজুর রহমান ও মহিলা কাউন্সিলর খালেদা বাহার বিউটিসহ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
×