ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আমিরাত-সিঙ্গাপুর ম্যাচ অমীমাংসিত

বড় জয়ে শুভসূচনা তাইপের

প্রকাশিত: ০৪:৩৯, ২৮ আগস্ট ২০১৬

বড় জয়ে শুভসূচনা তাইপের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শনিবার পর্দা উঠছে ‘এএফসি অনুর্ধ-১৬ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইপর্ব’ ফুটবল আসরের। উদ্বোধনী ম্যাচেই বড় জয়ে শুভসূচনা করেছে চাইনিজ তাইপে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত গ্রুপ ‘সি’র প্রথম ম্যাচে তারা ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করে কিরগিজস্তানকে। বিজয়ী দল প্রথমার্ধেই এগিয়ে ছিল ৫-১ গোলে। অথচ ম্যাচের ৩ মিনিটেই গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল। মিডফিল্ডার আদেলিয়া এরকিনভিবা গোল করে দলকে এগিয়ে দেন (১-০)। এরপর নিজেদের সামলে ও গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণের বন্যা বইয়ে দিয়ে একে একে গোল করতে শুরু করে তাইপে দল। পুরো ম্যাচ জুড়েই আধিপত্য ছিল তাদের। ১২ মিনিটে ম্যাচে সমতা আনে চাইনিজ তাইপের অধিনায়ক সু ইউ সুয়ান (১-১)। ২৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেছে সে-ই। (২-১)। ২৬ মিনিটে মিডফিল্ডার নিয়েনের গোলে ব্যবধানটা বাড়ে আরও (৩-১)। ২৮ মিনিটে মিডফিল্ডার জেং বল পাঠায় কিরগিজস্তানের জালে (৪-১)। ৪৪ মিনিটে ফরোয়ার্ড জিন রো করে নিজেদের পঞ্চম গোল (৫-১)। ৮১ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করে তাইপের মিডফিল্ডার ঝেং ইয়া জিহ (৬-১)। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে কিরগিজস্তানের জালে শেষবারের মতো বল পাঠায় ফরোয়ার্ড ইউ ইয়া জুয়ান (৭-১)। একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মুখোমুখি হয় সিঙ্গাপুর। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে নয় বরং অভিজ্ঞতা অর্জনের লক্ষ্যেই বাংলাদেশে এসেছে বলে জানিয়েছিলেন সিঙ্গাপুরের কোচ চেন কাই ইয়ং। তবে শনিবার আমিরাতকে বিন্দুমাত্র ছাড় দিয়ে খেলেনি সিঙ্গাপুরের মেয়েরা। ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র করেই মাঠ ছেড়েছে উভয় দল। ৩২ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় আমিরাত। গোল করেন মিডফিল্ডার হাস্সা মোহামেদ (১-০)। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে (৪৫+২) ম্যাচে সমতা আনে সিঙ্গাপুরের মিডফিল্ডার দরকাস চু (১-১)। তবে ইনজুরি টাইমেই সারা সামিহের গোলে আবারও এগিয়ে যায় আমিরাত (২-১)। বিরতির পর ৪৭ মিনিটে সিঙ্গাপুরের পুত্রি নূরের গোলে ম্যাচে আবারও সমতা আসে (২-২)। বাকি সময়ে আর কোন গোল না হওয়াতে ম্যাচে সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে দু’দল। মার্গারিটার বাবা মারা গেছেন স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মারা গেছেন অলিম্পিকে স্বর্ণজয়ী বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত রাশিয়ান জিমন্যাস্ট মার্গারিটা মামুনের বাবা। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার বিকাল ৫টায় রাশিয়ার মস্কোতে মার্গারিটার বাবা আবদুল্লাহ আল মামুনের মৃত্যু হয়। আবদুল্লাহ আল মামুনের বাড়ি রাজশাহীতে। ক্যান্সারে ভোগা মামুন মস্কো প্রবাসী একজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। মার্গারিটার মা আনা রাশিয়ান নাগরিক ও সাবেক জিমন্যাস্ট। মার্গারিটা জুনিয়র লেভেলে কিছুদিন বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন। কিন্তু সিনিয়র লেভেলে তিনি অংশ নেন রাশিয়ার হয়ে। রিও অলিম্পিকে রাশিয়ার এ্যাথলেট হিসেবে অংশ নিয়ে রিদমিক জিমন্যাস্টিকস-উইমেন্স ইনডিভিজুয়াল অল-এ্যারাউন্ড ইভেন্টে সোনা জয় করেছিলেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত রাশিয়ান নাগরিক মার্গারিটা মামুন। বর্তমানে এই ইভেন্টের বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বরে আছেন মার্গারিটা। তার বাবা মারা গেছেন।
×