ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দেশী গরু-মোষ হাটে তুলতেও করিডর ছাড়পত্র!

প্রকাশিত: ০৪:১২, ২৮ আগস্ট ২০১৬

দেশী গরু-মোষ হাটে তুলতেও করিডর ছাড়পত্র!

মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ॥ কোরবানির পশু কেনা-বেচা শুরু না হলেও জমতে শুরু করেছে হাট। তবে দেশী গবাদি পশু কেনা-বেচায় করিডর শুল্ক আরোপ করায় শুরুতেই বিপাকে পড়েছে খামারি ও ব্যবসায়ীরা। গবাদি পশু আমদানি স্থল শুল্ক সেন্টারের (করিডর) ছাড়পত্র ছাড়া দেশী গরু-মোষ কেনা-বেচা করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে তারা। তাদের অভিযোগ, করিডরের ছাড়পত্র ছাড়া গবাদি পশু বহন করতে গেলে বিজিবি ও কাস্টমসসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী অঞ্চলে ভারত থেকে গবাদি পশু আমদানির নয়টি করিডরের মধ্যে সবচেয়ে বড় গোদাগাড়ী উপজেলার সুলতানগঞ্জ করিডর দিয়ে গত কয়েক বছর ধরে গবাদি পশু আমদানি হয় না। তবে প্রতিদিন সেখানে ৩০০ থেকে ৩৫০টি দেশী গবাদি পশু করিডর করা হচ্ছে। এজন্য পশু প্রতি পাঁচশ’ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা গ্রামের গরু ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, কোরবানির হাটে দেশী গরু বিক্রির জন্য পাঁচশ’ টাকা হারে করিডরে শুল্ক দিয়ে ছাড়পত্র নিতে হয়েছে। করিডরের ছাড়পত্র না থাকলে রাজাবাড়ি চেক পোস্টে বিজিবি গরুগুলো আটকে দেয়। সুলতানগঞ্জ করিডরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা দিদারুন নবী বলেন, দেশী ও ভারতীয় গবাদি পশু আলাদাভাবে চেনার উপায় না থাকায় সীমান্ত এলাকার সকল গরু-মহিষ করিডোর করতে হয়। রাজশাহী কাস্টম ও এক্সাইজ ভ্যাট কমিশনার ড. আব্দুল মান্নান সিকদার বলেন, দেশী গবাদি পশু করিডর করার কোন নিয়ম নেয়। তবে ভারতীয় গরু-মোষের শুল্ক ফাঁকি বন্ধ করতে সীমান্ত এলাকার সকল গবাদি পশুর করিডরে ছাড়পত্র নেয়ার নিয়ম করা হয়েছে। ২০১৪ সালের ৮ ডিসেম্বর আঞ্চলিক ট্রাস্কফোর্সের সভার সিদ্ধান্তে সীমান্ত এলাকার দেশী গবাদি পশুর করিডর করার নিয়ম করা হয়।
×