ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পাবনায় পাঠদান ব্যাহত

স্কুলের পাশে ময়লার ভাগাড়

প্রকাশিত: ০৪:১২, ২৮ আগস্ট ২০১৬

স্কুলের পাশে ময়লার ভাগাড়

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ২৭ আগস্ট ॥ পাবনা পলিটেকনিক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার শতাধিক শিক্ষার্থীকে ময়লার দুর্গন্ধ সহ্য করে প্রতিদিন পড়ালেখা চালাতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে বিভিন্ন মহলের কাছে আবেদন করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। এ নিয়ে শিক্ষক ও অভিভাবক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, পাবনা পৌরসভা বিভিন্ন মহল্লা থেকে ময়লা আবর্জনা এনে স্কুলটির পাশে দীর্ঘদিন ধরে জমা করছে। এসব ময়লা আবর্জনা দুপুর বা বিকেলের দিকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পৌরসভার এসব ময়লার স্তূপের উৎকট গন্ধ সহ্য করে স্কুলের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা করতে হচ্ছে। যেদিন এসব ময়লা অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয় না তারপর দিন সকালে গন্ধের কারণে শিক্ষার্থীদের শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে পাশের পাড়ার পায়খানার দুর্গন্ধ। স্কুলের পাশের পাড়ার অন্তত ২৫টি বাড়ির পায়খানার সেপটিক ট্যাংকের লাইন স্কুলের প্রাচীর ছিদ্র করে স্কুলের আঙ্গিনায় ড্রেনের সঙ্গে জুড়ে দেয়া হয়েছে। এ ড্রেন দিয়ে ওই পাড়ার পায়খানার ময়লা স্কুলের পেছনে জমা হচ্ছে। এছাড়াও পাশের মসজিদ ছাত্রাবাসসহ কয়েকটি বাড়ির পায়খানার লাইন স্কুলের সেপটিক ট্যাংকের সঙ্গে জুড়ে দেয়ায় পায়খানার দুর্গন্ধে শিশু শিক্ষার্থীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় মাঝে মধ্যে শিশু শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বিজলী দাস জানিয়েছেন, গন্ধের কারণে শিক্ষকরাই অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। বিভিন্ন মহলে জানিয়েও এর প্রতিকার হচ্ছে না। স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ড. মোরাদ হোসেন মোল্যার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে জানিয়েও কোন প্রতিকার হয়নি। সর্বশেষ পরিবেশ অধিদফতরকে চিঠি দেয়া হয়েছে। ভালুকায় জনদুর্ভোগ নিজস্ব সংবাদদাতা ভালুকা ময়মনসিংহ থেকে জানান, ভালুকা উপজেলার মেদুয়ারী ইউনিয়নের বগাজান গ্রামে সিপি পোল্ট্রির মুরগির লিটার ও মরা মুরগির দুর্গন্ধ ছড়ানোয় এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এতে প্রায়ই লোকজন ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাছাড়া ফসলের জমিতে দীর্ঘদিন ধরে পোল্ট্রি হতে নির্গত দূষিত বর্জ্য নামায় ফসল আবাদ বন্ধ হয়ে গেছে। পোল্ট্রির পশ্চিম দিকের সীমানা প্রাচীরের নিচ দিয়ে সব সময় বর্জ্য পানি বাইরে ছড়ানোয় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। সরজমিনে ওই গ্রামে যেয়ে দেখা যায়, এলাকার নারী পুরুষ একের পর এক তাদের সমস্যার কথা বলতে শুরু করে। চাষী আব্দুল মালেক (৫০) জানান তার আট কাঠা ধানী জমি পোল্ট্রির বর্জ্যে কয়েক বছর যাবৎ অনাবাদী রয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোস্তাফিজুর রহমান লিটন জানান সিপির দুর্গন্ধ এলাকার জনস্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ হচ্ছে এর প্রতিকারের জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা করেছেন, তারা প্রতিকার করবেন বলে আশ^াসও দিয়েছেন। তবে সিপি কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।
×