ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলা একাডেমিতে বাংলাদেশ-চীনের খ্যাতিমান লেখকদের প্রাণবন্ত আড্ডা

প্রকাশিত: ০৬:০০, ২৭ আগস্ট ২০১৬

বাংলা একাডেমিতে বাংলাদেশ-চীনের খ্যাতিমান লেখকদের প্রাণবন্ত আড্ডা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ও চীনের খ্যাতিমান লেখকদের প্রাণবন্ত আলোচনা আড্ডা শুক্রবার বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়। শহীদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে সকালে অনুষ্ঠিত আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন চীনের কেন্দ্রীয় লেখক সমিতির পাঁচ সদস্য। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন হে জিয়ানমিং। অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন হু উই, ছেন ইয়াজুন, লি হাউ, লিন জুইমিই। বাংলাদেশের খ্যাতিমান লেখক ও বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, সেলিনা হোসেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, অনুবাদক ড. নিয়াজ জামান, ইতিহাসবিদ ড. মুনতাসীর মামুন, ড. ফকরুল আলম, লেখক ও প্রকাশক মফিদুল হক, কবি আসাদ চৌধুরী, কবি রুবী রহমান, কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা, কবি জাহিদুল হক, জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মুহাম্মদ সামাদ, কবি কামাল চৌধুরী, ড. ফিরোজ মাহমুদ প্রমুখ। সভার শুরুতে সফররত চীনা লেখক প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের বর্তমান সাহিত্য এবং প্রাসঙ্গিক নানা বিষয়ে আলোচনার জন্য আমরা একত্রিত হয়েছি। বন্ধুপ্রতিম দু’দেশের মধ্যে বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের দারুণ সুযোগ রয়েছে। চীনা লেখক প্রতিনিধি দলের সদস্যবৃন্দ তাঁদের বক্তব্যে বলেন, সাংস্কৃতিক বিপ্লবোত্তর চীনে শিল্প-সাহিত্যে আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। গণমানুষের কথা চীনা কবি-লেখকরা নিজস্ব শিল্পরীতিতে বাক্সময় করে তুলেছেন তাঁদের সাহিত্যকর্মে। পশ্চিমা সাহিত্যরীতির অনুকরণের বদলে দেশজ আধুনিকতার রূপরীতিতে চীনা লেখকরা ভীষণ আস্থাবান। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিকতার আবহেও চীনা সাহিত্য সমুজ্জ্বল। তাঁরা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ননফিকশন, শিশুসাহিত্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে যেমন চীনা লেখকরা প্রভূত মনোযোগ প্রদান করছেন, পাশাপাশি ইন্টারনেট বিপ্লবের ফলে অনলাইনভিত্তিক সাহিত্যচর্চাও চীনে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বাংলাদেশের লেখকরা তাঁদের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এবং লেখকরা চীনের সাধারণ মানুষের সঙ্গে গভীর একাত্মতা বোধ করেন। বিগত শতকের পঞ্চাশ ও ষাট দশকে চীনা সাহিত্যের বিপুল বাংলা অনুবাদ চীনের প্রকৃতি, রাজনৈতিক ইতিহাস এবং সাধারণ মানুষের জীবনধারা ও সংগ্রাম সম্পর্কে ধারণা লাভে সহায়ক হয়েছে। তাঁরা বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক যে উষ্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে তার সমান্তরালে বুদ্ধিবৃত্তিক, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে বাংলা ও চীনা উভয় ভাষায়, উভয় দেশের সাম্প্রতিক কবিতা, কথাসাহিত্য ও অন্যান্য লেখালেখির প্রতিনিধিত্বমূলক সঙ্কলন প্রকাশ করা যেতে পারে।
×