স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি অন্যসব ইস্যুতে আন্দোলন গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়ে এখন রামপাল নিয়ে ঝোপ বুঝে কোপ মারতে চাচ্ছে বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। শুক্রবার পার্টির পক্ষ থেকে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে একথা বলা হয়।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর স্ট্যান্ডিং কমিটি শুক্রবার এক বিবৃতিতে সুন্দরবন রক্ষা ও রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র অন্যত্র স্থানান্তরের সম্পর্কে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার বক্তব্যকে ‘মাছের মায়ের পুত্র শোক’ বলে অভিহিত করে
বলেছে, এ বিষয়ে চলমান আন্দোলন ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে তাদের ঘৃণ্য রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণই এর উদ্দেশ্য। ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে বলা হয়, সুন্দরবনসহ দেশের তেল-গ্যাস জাতীয় সম্পদ রক্ষার জন্য তেল-গ্যাস-বিদ্যুত-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটিসহ বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন যে দাবি তুলে ধরেছে সে বিষয়ে বিএনপি এ যাবতকাল কোন কথাই বলেনি। বরং তাদের ক্ষমতার সময় দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের জন্য সম্পূর্ণ অবৈধ পন্থায় এশিয়া এনার্জির হাতে তুলে দেয়ার ষড়যন্ত্রেই কেবল লিপ্ত ছিল না উপরন্তু তার প্রতিবাদে গড়ে ওঠা আন্দোলন দমন করার জন্য প্রতিবাদকারী ছয়জনকে তারা হত্যা করেছে। বিবিয়ানার গ্যাসক্ষেত্র থেকে পাইপলাইনে ভারতে গ্যাস রফতানির চক্রান্ত বাস্তবায়নে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছে। এখন যখন রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনকে কেন্দ্র করে সুন্দরবন রক্ষার প্রশ্নে দেশবাসী সোচ্চার তখন অন্যসব ইস্যুতে আন্দোলন গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়ে তারা এখন ঝোপ বুঝে কোপ মারতে চাচ্ছে। ওয়ার্কার্স পার্টি সুস্পষ্টভাবে বলতে চায়, সুন্দরবন বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ। তার সন্নিকটে রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপিত হলে তার প্রতিক্রিয়ায় সুন্দরবনের পরিবেশেরই কেবল ব্যাপক ক্ষতি হবে না, সেইসঙ্গে ঐ এলাকায় যে শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে তাতে সুন্দরবনের আরও বড় ক্ষতি হবে।
ওয়ার্কার্স পার্টি আশা করে, পরিবেশের বিশেষ করে সুন্দরবনের ক্ষতি সাধন হয় এমন কাজ এই সরকার করবে না। পার্টি দেশের বিদ্যুতের প্রয়োজন মেটাতে এবং শিল্প-কারখানা গড়ে তুলতে রামপালের স্থলে সুন্দরবন থেকে দূরবর্তী অঞ্চলে ঐ বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানায়।
