ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল

জিয়ার স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হবে আত্মঘাতী

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ২৭ আগস্ট ২০১৬

জিয়ার স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হবে আত্মঘাতী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহারের বিষয়ে সরকারের মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী ও দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার বিকেলে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। জানা যায়, বুধবার মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে উপস্থিত সদস্যদের সবার মতৈক্যের ভিত্তিতে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠকে পুরস্কার প্রত্যাহারের পাশাপাশি জাতীয় জাদুঘর থেকে পুরস্কারের মেডেল ও সম্মাননাপত্রও সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়। বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০৩ সালে জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি জিয়াউর রহমানকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সে সময় পুরস্কারের মেডেল ও সম্মাননাপত্র কোন উত্তরাধিকারীকে না দিয়ে জাতীয় জাদুঘরের একটি কর্ণারে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্তমানে জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে পুরস্কারের মেডেল ও সম্মাননাপত্র। ফখরুল বলেন, আমরা জেনেছি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ প্রসঙ্গে প্রকাশিত খবর ও বিএনপির নিজস্ব সূত্রে এ তথ্য জানতে পেরেছি। তিনি বলেন, আজ যারা গায়ের জোরে জিয়াউর রহমানের কীর্তি মুছতে চাইছেন, তাঁরাই একদিন মুছে যেতে পারেন। স্বাধীনতা পদক প্রবর্তন করেছিলেন জিয়াউর রহমান। এখন তিনি বাদ যাবেন, তাঁর সম্মান থাকবে না কিন্তু তাঁর কীর্তি থাকবে। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহারের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তে গোটা জাতি বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং যুদ্ধ করেছেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সরকার তাঁর অবদানের জন্য তাঁকে বীর উত্তম খেতাব দিয়েছে। দেশের মানুষও জিয়াউর রহমানকে তখন থেকেই চেনে। কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যে রাজনীতি করছে, তাতে তারা দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ২০০৩ সালে বিএনপি শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা পদক হিসেবে স্বাধীনতা পদক দেয়। এটা ছিল বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরম ঔদার্যের দৃষ্টান্ত। রামপাল বিদ্যুত প্রকল্প বাতিলের দাবি জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, আশা করছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সংবাদ সম্মেলনে সুন্দরবনের ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে বিদ্যুতকেন্দ্র না করার সিদ্ধান্ত জানাবেন। তিনি বলেন, রামপাল ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন ডাকায় আমরা খুশি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, এ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
×